Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আগামী সপ্তাহেই বিশ্বের জনসংখ্যা ছাড়াবে ৮০০ কোটি

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২২, ১০:৪২ এএম

আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ৮০০ কোটি জনসংখ্যার মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে বিশ্ব। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাটালিয়া কানেম বলেন, ৮০০ কোটি মানুষ মানবসভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। তবে আগামী দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা হ্রাস পাবে ও আঞ্চলিক বৈষম্যও বৃদ্ধি পাবে।
বিশ্বের জনসংখ্যার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির জনসংখ্যা বিভাগ অনুমান করছে, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ৮০০ কোটি হবে। ১৯৫০ সালে জনসংখ্যা ছিল ২৫০ কোটি।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের কর্মকর্তা রাচেল স্নো এএফপিকে বলেন, ১৯৬০ সালের দিকে বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়।
বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ ২.১% হয়। ২০২০ সালে এটি ১% এর নিচে নেমে আসে।
জনসংখ্যার ক্রমাগত হ্রাসের কারণে এই সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ০.৫% এ নেমে যেতে পারে।
প্রত্যাশিত আয়ু বৃদ্ধির পাশাপাশি সন্তান জন্মদান বৃদ্ধি পাওয়ার হারের বিষয়ে জাতিসংঘ বলছে, ২০৩০ সালে জনসংখ্যা ৮৫০ কোটি, ২০৫০ সালে ৯৭০ কোটি আর ২০৮০ সালের দিকে ১০৪০ কোটি হতে পারে।
যদিও ইউএস-ভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই) ২০২০ সালের এক সমীক্ষায় বলেছিল, ২০৬৪ সালে বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা সর্বাধিক বৃদ্ধি পাবে। তবে সেটা কখনোই ১০০০ কোটি হবে না। এমনকি ২১০০ সালে ৮৮০ কোটিতে নেমে আসবে জনসংখ্যার পরিমাণ।
আইএইচএমই গবেষণার প্রধান লেখক স্টেইন এমিল ভলসেট এএফপিকে বলেন, যথাযথ কারণ থাকায় আমাদের গণনা সঠিক বলে মনে করছি।
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটনের অধ্যাপক বলেন, জনসংখ্যার হার বেশি কম হওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের গড় জনসংখ্যার হারের একটি প্রভাব রয়েছে। সেই হিসেবে জনসংখ্যা মাত্র নয় থেকে ১০০০ কোটির মধ্যে পৌঁছাবে।
রকফেলার ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরি অব পপুলেশনসের জোয়েল কোহেন এএফপিকে বলেন, ‘পৃথিবী কত মানুষের ভার নিতে পারে, এমন প্রশ্নের দুটি দিক থাকে-প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা ও আমাদের পছন্দসমূহ।’
আমাদের সমস্যা হলো- পৃথিবী প্রতিবছর যে পরিমাণ পুনরুৎপাদন করতে পারে, তার চেয়ে মানবজাতির জৈবিক সম্পদ যেমন বন, ভূমি ইত্যাদি ভোগের মাত্রা বেশি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যধিক ব্যবহার আরও বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী।
অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ বলছেন, ধনী বাসিন্দাদের অতিমাত্রায় সম্পদ ভোগই হচ্ছে তুলনামূলক বড় সমস্যা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ