Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের সঙ্গে বিদিশার দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৫০ পিএম

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনূর রশীদসহ ট্রাস্টি বোর্ডের তিন সদস্যের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকের দূর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। ট্রাস্টের দলিল দস্তাবেজ রেজুলেশন বই ও হিসাব-নিকাশ হস্তান্তরে নোটিশও দেয়া হয়েছে।

গতকাল ০৬ অক্টোবর রবিবার এরশাদ ট্রাস্টের সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর ও অ্যাডভোকেট রুবায়েত হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী মামুনূর রশীদ ট্রাস্টের সুবিধাভোগী শাহাতা জারাব এরশাদ এরিকের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য রাজধানীর বারিধারার ১০ দূতাবাস রোডস্থ প্রেসিডেন্ট পার্কে যান। এসময় তাদের সঙ্গে দূর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বিদিশা সিদ্দিক। শুধু তাই নয়, পরবর্তিতে ট্রাস্ট নির্ধারিত অফিসে গিয়ে ট্রাস্টের গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেজ, রেজুলেশন বই, বিভিন্ন মামলা-মোকাদ্দমার কপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিদিশার নিয়োগকৃত কর্মচারি জেমস্ অরবিন্দু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তিনি সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন।

এঘটনার পর আজ ০৭ অক্টোবর বিদিশাকে নোটিশ পাঠিয়ে জানানো হয়, তার আচরণ ও কর্মকাণ্ডে ট্রাস্টের সদস্যরা বিব্রত এবং সুবিধাভোগির নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। পাশাপাশি ট্রাস্টের গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেজ, রেজুলেশন বই, বিভিন্ন মামলা-মোকাদ্দমার কপিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে সংরক্ষিত আছে কিনা, তা নিয়েও ট্রাস্ট কতৃপক্ষ শঙ্কিত বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে আরো বলা হয়, যেহেতু বিদিশার নিয়োগকৃত কর্মকর্তা/কর্মচারিবৃন্দ ট্রাস্টের নির্ধারিত অফিসের ঠিকানায় অবস্থান করেন, সেহেতু এর দায়-ভার তার(বিদিশা) উপরই বর্তায়। সে কারণে ট্রাস্টের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উদ্ধার করে কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের আহবান করা হয়।

এদিকে জাতীয় পার্টি ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বিদিশাকে আবারো নোটিশ দেয়া হয়েছে। এবার তিন দিনের মধ্যে জবাব ও ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি ও বিরোধী দলীয় নেতার মূখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদ। এর আগে গেলো ২৯ অক্টোবর সাত কর্মদিবস ধার্য করে একই ধরনের নোটিশ দিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় সম্মেলনের যুগ্ম আহবায়ক ও জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু। সেই নোটিশের আলোকে এবার তিন কর্মদিবস সময় ধার্য করে পাঠানো চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, বিদিশা ঘোষিত কো-চেয়ারম্যান দয়াল কুমার বড়য়া, যুগ্ম-মহাসচিব মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিকদার আনিছুর রহমান, সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ ও দফতর সম্পাদক নাফিস মাহাবুবসহ অন্যান্যরা একই কর্মকান্ড (পোস্টার, ফেস্টুন ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিজের নামের সঙ্গে জাতীয় পার্টি ও পদপদবি) ব্যবহার অব্যাহত রেখেছেন। বিদিশার এসব কর্মকান্ডে জাতীয় পার্টির সবস্তরের নেতা-কর্মীরা চরমভাবে ক্ষুদ্ধ বলে জানানো হয়।

সে কারণে নোটিশ প্রাপ্তির তিন (০৩) কর্ম দিবসের মধ্যে প্রদেয় সব পদ-পদবী বিলুপ্ত ঘোয়ণা করে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় দলীয় সদস্য না হয়েও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতারণাসহ দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা এবং বিরোধী দলীয় নেতার নাম ব্যবহার করে তাঁর মানহানি করার অপরাধে বিদিশার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারী দেয়া হয়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ