গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বরিশালে শনিবার বিএনপি’র বিভাগীয় গনসমাবেশ শাষক দল ও প্রধান বিরোধী দলের জন্য অনেক শিক্ষণীয় বিষয় তৈরী করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। এ সমাবেশকে প্রত্যক্ষ্য ও পরক্ষোভাবে প্রতিহত করা সহ জনসমাগম বাধাগ্রস্থ করতে সীমাহীন প্রতিবন্ধকতা আর পদে পদে বাঁধা জনতার শ্রোতকে আটকে রাখা যায়নি। বরং এসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করলে এ গনসমাবেশ মহাসমাবেশ রূপান্তর হত কিনা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। সরকারী দলের পরক্ষো প্রতিবন্ধকতাই বিরোধী দলের মহামাবেশের সফলতা নিশ্চিত করেছে বলেও মনে করনে মহলটি। আর নানা প্রতিবন্ধকতা সাধারন মানুষকে এ সমাবেশের প্রতি আমজনতার কৌতুহলকে অনেকাংশে বৃদ্ধি করে তাদের স্বতস্ফুর্ত অংশ গ্রহহনকে অনেকটাই নিশ্চিত করেছে।
২০১৪ ও ২০১৯-এর নির্বাচনের পরে দক্ষিণাঞ্চলে দেশের প্রধান এ বিরোধী দলের সাংগঠনিক ভীত অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে গেছে। যা থেকে দলটি এখনো বেরিয়ে আসতে পারেনি। বিএনপি’র অনেক নেতা এখনো বছরের বেশীরভাগ সময় ঢাকায় বসেই এলাকায় দলীয় রাজনীতি পরিচালনা করছেন। শণিবারে এ সমাবেশ এসব প্রবাসী নেতাদের কিছুটা হলেও এলাকামুখি করতে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করছেন তৃনমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ঝিমিয়ে পরা মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদেরও অনেকটা উজ্জিবীত করেছে বলে দাবী তাদের। পাশাপাশি প্রধান বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডকেও এ সমাবেশ অনেকটা সক্রিয় করবে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।
তবে দীর্ঘদিন পরে বরিশালে বিএনপি’র এ গনসমাবেশ মহাসমাবেশের রূপ নেয়ার বিষয়টি দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক সচেতন মহলের কাছেও নতুন বাস্তবতা তৈরী করেছে। এমনকি বিরোধী দলের এ কর্মসূচীকে ঘিরে সরকারী দলের আচরন সাধারন মানুষের কাছেও অনেক শিক্ষণীয় ছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। গৌরনদী সহ কয়েকটি এলাকায় সরকারী দলের কতিপয় অতি উৎসাহী মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের প্রত্যক্ষ্য বাধা সৃষ্টি করার বাইরে সমাবেশে যোগদানে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয় পরিবহন ধর্মঘট ডেকে। যে ধর্মঘটে সরকারী দলের পরক্ষো ইন্ধন ছাড়াও প্রশাসনের সীমাহীন উদাশীনতার সাথে পরক্ষো সম্মতিরও অভিযোগ ছিল।
তবে শণিবারে সমাবেশের তিন দিন আগেই হাজার হাজার মানুষ বরিশালের সমাবেশস্থলে অবস্থান সহ পায়ে হেটে, সাইকেলে এবং মাছ ধরা ট্রলার সহ পণ্য ও বালুবাহী দেশীয় যন্ত্রচালিত নৌকায় বরিশালের গনসমাবেশকে মহাসমাবেশের রূপ দেয়।
বিষয়টি থেকে সরকারী প্রশাসন ও সরকারী দল যথেষ্ঠ শিক্ষা গ্রহন করবেন বলেও আশা করছেন নাম প্রকাশেষ অনিচ্ছুক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। পাশাপাশি এ গনসমাবেশ মহাসমাবেশের রূপ নেয়ায় বিরোধী দল বিএপি’র নেতা-কর্মীরাও অতি উৎসাহী না হয়ে, আমজনতা যে সমর্থন তাদের প্রতি প্রকাশ করেছেন তাকে ভবিষ্যতে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবেন বলে আশা করছেন মহলটি। কারণ অতীতে ক্ষমতার মোহে এ অঞ্চলের অনেক বিএনপি নেতা-কর্মী সাধারন মানুষের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য ও সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি ভুলে গিয়ে ক্ষমতার স্বাদ পুরোপুরি ভোগেই ব্যস্ত ছিলেন বেশী।
শণিবার বরিশালের গনসমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ‘নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোন দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচনে না যাবার ঘোষনার পাশাপাশি নির্বাচনের পরে ফ্যাসিস্ট বিরোধী সব দলের সমন্বয়ে জাতীয় সরকার গঠন’এর যে ঘোষনা দিয়েছেন, সে অবস্থানে শেষ পর্যন্ত তারা কতটুকু অনড় থাকবেন, তাও দেখার অপেক্ষায় দক্ষিণাঞ্চলের আমজনতা সহ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলও। পাশাপাশি সরকারী দল বিএনপি’র এ গনসমাবেশের অভিজ্ঞতার আলোকে দক্ষিণাঞ্চলে বিরোধী দল সমুহের রজনৈতিক কর্মসূচীকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করার মানষিকতা নিয়ে আগামী দিনে রাজনীতির মাঠে থাকবেন বলেও আশা করছেন রাজনৈতিক পযর্বেক্ষক মহল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।