প্রেমিকের সামনে বাঞ্জি জাম্পিং করতে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে প্রেমিকার। উত্তর কলম্বিয়ার এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে একটি বাঞ্জি জাম্পিং সংস্থা। এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়, তরুণী কি কারনে দড়ি ছাড়াই অত উঁচু থেকে ঝাঁপ দেন।
জানা গেছে, প্রেমিক যুগলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে মৃত্যু হয়েছে তরুণীর। সামনে থেকে প্রেমিকার মৃত্যু দেখলেন অসহায় প্রেমিক। দড়ি না বেঁধে ১৫০ ফুটেরও বেশি উঁচু থেকে ঝাঁপ দেন তরুণী। তাতেই প্রাণ গেল তার।

তরুণীর নাম ইয়েসিনা মোরালেস গোমেজ (২৫) । ইয়েসিনা ও তার প্রেমিক দু’জনেই অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী। ফলে বাঞ্জি জাম্পিংয়ের পরিকল্পনা। এই খেলায় শরীরে দড়ি বেঁধে অনেক উঁচু থেকে লাফ দেওয়া নিয়ম। বিপদের মধ্যে লাফিয়ে পড়ে তা অতিক্রমের মজা নেন মানুষ।
উত্তর কলম্বিয়ার অ্যামাগার স্কাই বাঞ্জি জাম্পিং নামের একটি সংস্থায় অ্যাডভেঞ্চারে মাতেন ইয়েসিনা ও তার প্রেমিক। জানা গেছে, ৫০ মিটার উঁচু থেকে লাফ দেন ইয়াসিনা। প্রেমিক ও তিনি একসঙ্গে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝি হয়।
প্রেমিকের শরীরে দড়ি বাঁধার পর উপস্থিত প্রশিক্ষক তাকে লাফ দিতে বলেন। যদিও ইয়াসিন ভাবেন তাকে লাফ দিতে বলা হচ্ছে। এবং তিনি লাফ দেন। এতেই মৃত্যু হয় তার। পরে চিকিৎসক জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ইয়াসিনের।
কিন্তু এমন ঘটনার কথা মানতে চায়নি কলম্বিয়ার ওই বাঞ্জি জাম্পিং সংস্থাটি। তাদের দাবি, ঘটনার সময় তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমিক ছিলেন না। আলাদা আলাদা ভাবে লাফানোর ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।

সূত্রের খবর, তরুণীর ঘটনার বিষয়ে যাবতীয় তথ্য প্রমাণ জমা দিয়েছে বাঞ্জি জাম্পিং সংস্থা। তারা জানিয়েছে, মাত্র ৮ সেকেন্ডের যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তা ইয়াসিনার নয়। বরং অন্য একজনের, তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তরুণীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সূত্র ; দ্য সান ইউকে, ডেইলি মেইল।