নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনকে যেন তোয়াক্কাই করছেন না তারকা ভারোত্তোলকরা। তারা ফেডারেশনকে পাশ কাটিয়ে একের পর এক কাজ করে যাচ্ছেন। এ তালিকায় রয়েছেন গৌহাটি-শিলং সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে স্বর্ণজয়ী মহিলা ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সিমান্ত ও ব্রোঞ্জজয়ী রেশমা আক্তার এবং আরেক ব্রোঞ্জজয়ী পুরুষ ভারোত্তোলক মোস্তাইন বিল্লাহ।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ও ভারোত্তোলন ফেডারেশনের অজান্তেই তারা খেলতে গেছেন এশিয়ান কাতার কাপ চ্যাম্পিয়নশিপে। মঙ্গলবার ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন তারা। এই তিন ভারোত্তোলকের সঙ্গে আরও রয়েছেন এনএসসির দুই কোচ শাহরিয়া সুলতানা সূচী ও ফারুক সরকার কাজল।
গত ৯ জুন সাবেক সাধারণ সম্পাদক উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিনকে হটিয়ে ভারোত্তোলন ফেডারেশনের নতুন অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করে এনএসসি। এরপর থেকেই যেন জট পাকে। সাবেক সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ফেডারেশনকে অসহযোগিতা করতে থাকেন বেশ ক’জন কর্মকর্তা ও তারকা ভারোত্তোলকরা। এদের মধ্যে অন্যতম ১২তম এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী মাবিয়া আক্তার সিমান্ত। তিনি ফেডারেশনের অনুরোধ সত্ত্বেও গেল অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে যাননি অনুশীলনের ঘাটতি দেখিয়ে। শুধু তাই নয়, মালয়েশিয়ায় খেলতে না গিয়ে নানা অভিযোগ তুলেন ফেডারেশনের সভাপতিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার অনুশীলনে না থেকেও ঠিকই খেলার নামে কাতার গেলেন। এদিকে অভিযোগ রয়েছে, ওয়ার্ল্ড এবং এশিয়ান ভারোত্তোলন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে মহিউদ্দিন আহমেদ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব হারানোর পরও বিদেশে খেলার আমন্ত্রণ আদায় করে নেন। এবং এতে নাকি প্রাধান্য দেয়া হয় ক’জন ভারোত্তোলক। তিন ভারোত্তোলক ও কোচ দ্বয়ের কাতার যাওয়ার বিষয়ে এনএসসি’র সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সূচী আমাদের কোচ হলেও সে জানিয়ে গেছে। কিন্তু মাবিয়া, মোস্তাইন ও রেশমার ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। তারা আমাদের কাছ থেকে কোন অনুমতিও নেয়নি। আমাদের জানানো উচিত ছিল তাদের।’ এনএসসিতে ভারোত্তোলন ফেডারেশন কর্তৃক রেজুলেশনকৃত সাধারণ সম্পাদক মকবুল আহমেদ খান বলেন, ‘এটা অবশ্যই শৃঙ্খলাভঙ্গ। একজন খেলোয়াড় কোনোভাবেই এমন কাজ করতে পারেন না। তাছাড়া ক’দিন আগে সিমান্ত ভারত সফরে থাকায় আমরা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ পিছিয়ে দিয়েছিলাম। এবং তা করেছি এনএসসি সচিবের আদেশেই। অথচ দেশে ফিরে আমাদেরকে না জানিয়ে এবং কোনো প্রকার অনুশীলন ছাড়াই সাবেক সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কাতারে গেলেন তিনি। এটা সম্পূর্র্ণ নিয়মের বাইরে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।