Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ষণ মামলায় কারাগারে লামিছানে

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক নেপালের ক্রিকেটার সন্দীপ লামিছানেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকতে হবে। নেপালের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা চার দিনের শুনানি শেষে গতপরশু বিচারক মাধব প্রসাদ ঘিমিরের বেঞ্চ লামিছানেকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৬ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর থেকে পুলিশ হেফাজতেই ছিলেন নেপালের সাবেক অধিনায়ক লামিছানে। আদালতের তথ্য কর্মকর্তা দীপক দাহাল বলেন, রায় না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে থেকেই মামলা লড়তে হবে লামিছানেকে। অবশ্য আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নেপালের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ১০ থেকে ১২ বছরের কারাদণ্ড হবে ২২ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনারের। অভিযোগপত্র দায়েরের পরপরই লামিছানের ব্যাংক হিসাব ও সম্পত্তি জব্দ করা হয়।
১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে কাঠমান্ডু ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির কার্যালয় গত সোমবার লামিছানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। গত মঙ্গলবার থেকে বাদী ও বিবাদীপক্ষের জবানবন্দি নেওয়া শুরু করে আদালত। আদালতে শুনানিতে লামিছানের পক্ষে ছিলেন ৪ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ মোট ১০ জন। আর বাদীর পক্ষে ছিলেন ৪ আইনজীবী। তদন্তের পর গত সপ্তাহে নেপাল পুলিশ বলেছিল, কিশোরীকে লামিছানের ধর্ষণের প্রমাণ তারা পেয়েছেন। যদিও এই ক্রিকেটার ও তার আইনজীবীরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জবানবন্দিতে ওই কিশোরী পুলিশকে বলেছেন, লামিছানে তাকে দুবার ধর্ষণ করেন। স্ন্যাপচ্যাটে যোগাযোগের সূত্রে তাদের পরিচয় হয়েছিল। লামিছানে তাকে জোর করে নাগারকোটে একটি হোটেলে নিয়ে যান বলেও জবানবন্দিতে বলেন কিশোরী। আর লামিছানে পুলিশকে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, ওই কিশোরীর ইচ্ছায় তাকে নাগরকোটে নিয়ে যান তিনি। আর মেয়েটির বয়স ১৭ নয়, ১৯ বছর।
গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ তুলে লামিছানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিনই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। সেই সময় ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছিলেন তিনি। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরপরই জরুরি সভা ডেকে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল লামিছানেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তখন দেশটির জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। আইনি লড়াইয়ে নামার কথা জানিয়ে লামিছানে দেশে ফেরার ঘোষণা দেন ১ অক্টোবর। ৬ অক্টোবর কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখতেই তাকে গেপ্তার করা হয়।
নেপাল ক্রিকেটের উজ্জ্বল বিজ্ঞাপন হিসেবে গত কয়েক বছরে বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেকে পরিচিত করেছেন লামিছানে। দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় (আইপিএল থেকে শুরু করে বিগ ব্যাশ, সিপিএল, বিপিএল, এলপিএল) খেলা নেপালের একমাত্র ক্রিকেটার তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তার রয়েছে দারুণ সব অর্জন। দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে ৫০ ওয়ানডে উইকেট ও তৃতীয় দ্রুততম হিসেবে ৫০ টি-টোয়েন্টি উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন তিনি।
নাইরোবিতে গত ৩০ আগস্ট কেনিয়ার বিপক্ষে নেপালের হয়ে সবশেষ মাঠে নামেন লামিছানে। সবশেষ সিপিএলের শিরোপাজয়ী দল জ্যামাইকা তালাওয়াহসের হয়ে খেলার কথা থাকলেও ওই অভিযোগের পর আর খেলা হয়ে ওঠেনি নেপালের হয়ে ৩০ ওয়ানডে ও ৪৪ টি-টোয়েন্টি খেলা লামিছানে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ