Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে দলবদলে মোহামেডান

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০২২, ৯:০৫ পিএম

ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে খেলোয়াড় দলবদল কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শুক্রবার বিকালে মতিঝিলের ক্লাব প্যাভিলিয়ন থেকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে, বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে আসেন মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সঙ্গে ছিলেন একঝাঁক কর্মকর্তা ও সমর্থকরা। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকেই বাদ্য-যন্ত্র বাজতে থাকে মোহামেডান ক্লাবে। মাথায় সাদাকালো ব্যান্ড, প্লেকার্ড হাতে মোহামেডান সমর্থক দল ও ফ্রেন্ডস ক্লাবের শতাধিক সদস্য এবং ছয়টি ঘোড়ার গাড়িতে করে বাফুফেতে এসে হাজির হন ফুটবলাররা।

দলবদলে বাফুফে ভবনে এসে মোহামেডানের ডাইরেক্টর ইন-চার্জ অফ অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন এবং জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন,‘আমরা আজকে খুব জাকজমকপূর্ণভাবে দলবদল করতে এসেছি। যাতে মনে হয় ফুটবলের যৌবন ফিরে আসছে। এক সসসময় আবাহনী ও মোহামেডানের খেলায় তিনদিন আগে থেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন হাজারো ভক্ত। টিকিট পাওয়া যেত না। এই যে মোহামেডান ও আবাহনীর মধ্যে টান টান উত্তজনা থাকতো, তা এখন আর নেই। সেই দিনগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। তাই মনে করি আজ এই দলবদলের মধ্য দিয়ে সেই দিন ফিরে আসবে। আমরা চেষ্টা করছি শক্তিশালী দল গড়তে।’

এ সময় বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, মোহামেডান ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর, ক্লাবের পরিচালক শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এমপি এবং কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক উপস্থিত ছিলেন। নতুন মৌসুমের জন্য ৩২ জন ফুটবলারের নাম নিবন্ধন করেছে সাদাকালোরা।

ক্লাবের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘আজ শুক্রবার সত্বেও যাতে চাপ না থাকে সে জন্য এসেছি। এতে বাফুফের সভাপতি সাহেবও রাজী হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, মোহামেডান ও আবাহনী যদি ফুটবল খেলে, তাহলে ফুটবল এগুবে। সেই কথাকে গুরুত্ব দিয়ে সবাই সাদাকালো শিবিরকে উজ্জীবিত করতে ঝাপিয়ে পড়েছি। এবার শক্তিশালী দল গড়তে চেষ্টা করেছি। দেশি ও বিদেশি ফুটবলারের সমন্বয়ও ভাল হয়েছে। আমাদের অধিনায়ক মালির সুলেমান দিয়াবাতে খুবই ভাল মানের ফুটবলার ও পেশাদার। তাকে পেয়ে আমরা খুবই খুশি।’ দলের প্রধান কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘আমরা ৩২ জন ফুটবলারকে নিবন্ধন করিয়েছি। আমাদের কাছ থেকে পেমেন্ট নিয়েও যে তিনজন ফুটবলার (রহমত মিয়া, রিয়াদুল হাসান ও নাঈম) অন্য ক্লাবে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে তাদের পেলে দল পরিপূর্ণতা পাবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ