Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

তুরস্ক আঞ্চলিক শক্তির প্রভাবশালী খেলোয়াড় হয়ে উঠছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০২২, ৬:২৬ পিএম

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়া যতই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, আলোচনার টেবিলে তুরস্কের ভূমিকা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সেতু হয়ে উঠছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েব এরদোগান।

ইউক্রেনের বাইরে শস্যের চালান বন্ধ করার হুমকি দেয়ার পর এই সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়া যখন নমনীয় হ’ল, তখন এরদোগানই প্রথম এই খবরটি প্রকাশ করেন। তুরস্কের পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন যে, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু তার তুর্কি প্রতিপক্ষকে জানিয়েছেন যে, চুক্তিটি শীঘ্রই আবার কার্যকর হবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস পরে জানিয়েছে যে, জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় চুক্তিটি কার্যকর করা হয়েছে।

তুরস্ক রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরেপ করতে অস্বীকার করেছে, এবং রাশিয়ার অনুমোদিত ধনকুবেরদের নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছে, এমনকি এই যুদ্ধের নিন্দাও করেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনায় এরদোগান ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক খেলোয়াড় হিসেবে তুলে ধরেছেন। একটি বড় বৈশ্বিক খাদ্য সঙ্কট এড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্বের বৃহত্তম শস্য রপ্তানিকারক রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সাথে মূল শস্য রপ্তানি চুক্তিটি জাতিসংঘের সাথে তুরস্কের

মধ্যস্থতায় হয়েছিল।

এরদোগান একটি বন্দী বিনিময়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, যেখানে রাশিয়া ইউক্রেনীয় কমান্ডারদের মুক্তি দিয়েছিল। এবং তিনি মার্চ মাসে ইস্তাম্বুলে দেশ দুইটির মধ্যে প্রাথমিক শান্তি আলোচনার আয়োজন করেছিলেন, যদিও তা প্রাথমবিভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুরস্কের এই সর্বশেষ উন্নয়নের কারণে সামনের মাসগুলিতে পশ্চিমা জোট দেশটির ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারে।

ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে সর্বশেষ সাফল্যের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ব্যক্তিগতভাবে এরদোগানকে ‘শস্য চুক্তি রক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণ, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তার অবিচল সমর্থনের জন্য’ ধন্যবাদ জানান। একই সময় এরদোগান তুর্কি এটিভিকে বলেন যে, তিনি জেলেনস্কির সাথে আফ্রিকান দেশগুলিতে শস্য পাঠানোর বিষয়ে

আলোচনা করেছেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রথমে জিবুতি, সোমালিয়া এবং সুদানের মতো

দেশে শস্য পাঠানোর প্রস্তাব করেছেন। সেখানে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যারা উন্নয়ন দেখেছেন, তারা এরদোগানের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা এবং প্রভাব সম্পর্কে সচেতন। এগ্রিকালচারাল মার্কেট রিসার্চ ফার্ম সোভএকন এর প্রধান আন্দ্রেই সিজভ বুধবার টুইটারে লিখেছেন, ‘উল্লেখ করা হয়েছে যে আঙ্কারা (তুরস্কের রাজধানী) এখানে চূড়ান্ত কিছু বলতে পারে তবে পুতিনের উপর তাদের এত প্রভাব থাকবে বলে আশা করিনি। সত্যিই ভাবছি এরদোগানের রহস্য কী।’ সূত্র: বিজনেস ইন্সাইডার।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ