কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে ৬২ কেজির বাঘা আইড় মাছ উঠেছে জেলের বর্শিতে। এ ঘটনায় সবাই হতবাক। এতো বড় মাছ বর্শিতে শিকার করা বিরল ঘটনা। এই মাছ হাতবদল হয়ে চলে আসে নাগেশ্বরী উপজেলায়। সেই মাছ বাজারে নিয়ে আসলে দেখতে মানুষের ভিড় জমে। শুক্রবার সকালে নাগেশ্বরী পৌর বাজারে এক হাজার ৬শত টাকা কেজি দরে মাছটি কেটে বিক্রি করা হয়। এতে মাছটির মুল্যদাড়ায় প্রায় এক লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী বাসস্ট্যান্ডের এশিয়া মার্কেটে মাছটি নিয়ে আসা হয় ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সায় করে। অটোরিক্সার সিট জুড়ে মাছটির অবয়ব। সেটি নিয়ে নানা আলোচনার শেষ নেই মানুষের। এতো বড় মাছ দেখে সবাই হতবাক। চলে মাছের ছবি তোলা আর মাছের সাথে সেলফি তোলা। দাম বেশী হওয়ায় অনেকের ভাগ্যে এ মাছ জুটবেনা তাই ভরসা ছবি।
মাছের মালিক হানিফ আলী। তার বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার বানুরখামার এলাকায়। মাছ ব্যবসায়ী হানিফ জানান, চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে বৃহস্পতিবার বিকালে বর্শিতে মাছ ধরেছেন এক স্থানীয় জেলে। তার কাছ থেকে ৫০হাজার টাকায় মাছটি কিনে এনেছেন নাগেশ্বরীতে। দাম বেশী তাই ক্রেতা কম। শুক্রবার সকালে পৌরবাজারে মাছটি কেটে ১৬শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। বিক্রি হয় ৯৯হাজার ২০০টাকায়। এতে অনেক খরচ পড়েছে। লোকজন খাটাতে হয়েছে। তারপরও লাভ থাকবে। বড় কথা হলো এতে অনেক ভাললাগা আছে। এতো বড় মাছ সব সময় পাওয়া যায়না। এটাও সৌভাগ্যের ব্যাপার। তাই ভালোবাসা থেকে মাছটি কিনে এনেছি।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, এ ধরণের বড় মাছ ধরার খবর শুনেছি। ব্রহ্মপুত্র নদে অনেক বড় বড় মাছ আছে। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জাতের বড় বড় মাছ ধরার খবর আসে। এতে বোঝা যায় এ জেলার নদ নদী এখনও মৎস্য সম্পদে সমৃদ্ধ। ইলিশের নিষেধাজ্ঞা সময়টি জেলেরা মান্য করায় এখন নদীতে সব ধরণের মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধরা পড়ছে বড় বড় মাছ।