মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের লংমার্চে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের ওপর বন্দুক হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তা অবরোধ করে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বলে পাকিস্তানের গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, কোয়েটায় বিমানবন্দরগামী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা। রাস্তা অবরোধ করায় কোয়েটায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, করাচির শারে ফয়সাল, উত্তর নাজিমাবাদ, লাঁধি, কায়েদাবাদ, উত্তর করাচি, হাব রিভার মহাসড়ক ও মৌরিপুরেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতারা দাবি করেছেন, ইমরান খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলা প্রসঙ্গে ইমরানের দলের নেতা ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, হামলায় ছয়জন আহত হয়েছেন।
নিহত হয়েছেন পিটিআই দলের এক সমর্থক। তিনি বলেন, পিটিআইয়ের নেতৃত্ব শেষ করে দিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লার বাড়ির বাইরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছেন। সেখানে স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা। বিক্ষোভ চলছে ফয়সালাবাদে। এখানে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পিটিআই নেতা ফারুখ হাবিব।
বিক্ষোভ শুরু হয়েছে করাচিতে। সেখানকার শারে ফয়সাল, নর্থ নাজিমাবাদ, লন্ধি, কাউইদাবাদ, নর্থ করাচি, হাব রিভার রোড ও মাউরিপুরে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে।
বিক্ষোভের খবর শোনা গেছে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশেও। এ ছাড়া পেশোয়ারের সেনা কমান্ডারে বাড়ির বাইরেও বিক্ষোভ হচ্ছে।
অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে এপ্রিলে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান খান। এর পর থেকেই তিনি অভিযোগ তুলছিলেন, বিদেশি শক্তির চাপে তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় আঙুল তুলেছেন দেশটির সেনাবাহিনীর দিকে।
এরপর আগাম নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর পাকিস্তানের লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেন ইমরান খান। এ লংমার্চ শুরুর পর থেকেই ৭০ বছর বয়সী এই নেতা বলে আসছিলেন, তাঁর লংমার্চ সরকার পতনের উদ্দেশ্যে নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।