মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
]বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত বিপর্যয় মোকাবিলায় জাতিসংঘের উদ্যোগে কনফারেন্স অব দ্য কার্টিজ-কপ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, সবাই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কথা বললেও জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলনে (ইউএনএফসিসিসি) গণতন্ত্র নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) সহ ২৫টি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্লাটর্ফম থেকে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সিপিআরডি’র নির্বাহী প্রধান মো: শামসুদ্দোহা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান শাহীন আনাম, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির, ওয়াটার এইডের পরিচালক পার্থ হেফাজ শেখসহ সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে না বরং এটি আমাদের অস্তিত্ব সঙ্কটে ফেলে দিচ্ছে। অনেকেই বলেন-এর আগের সম্মেলনগুলো থেকে বাংলাদেশ বা অন্যান্য দেশ কি পেয়েছে। কিন্তু এখানে সেই বিষয়টি হলো দরকষাকষি কীভাবে হবে। যদি এটা ভালোভাবে করা না যায় তাহলে আমরা যে প্রত্যাশা করি তা পাব না। সম্মেলনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার জটিলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭টি দেশ এখানে সদস্য। এখানে বলা আছে একটি শব্দ বা সেমিকোলনের যদি কেউ বিরোধিতা করে তাহলে হবে না। প্রত্যেকবার এমনটা হয়। এটা কেমন হলো না? এখন জরুরি অবস্থা, তখন যদি কেউ বিরোধিতা করে তাহলে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এ জন্য আমি বলি সবাই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কথা বললেও জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলনে (ইউএনএফসিসিসি) গণতন্ত্র নেই। একটা বা দুইটা দেশ পুরো প্রক্রিয়া জিম্মি করে রেখেছে। এ সময় কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশ নিজেদের জায়গা থেকে শক্ত অবস্থান নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করবে বলেও জানান সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। ফারা কবির বরেন, আমরা ক্লাইমেট ন্যাগুসিয়েশনের শুরু থেকেই নানান তথ্য, যুক্তি এবং বক্তব্য হাজির করেছি কিন্তু উন্নত বিশ্বকে কোন কোথা বুঝাতে পারিনি, এই বছর (২০২২) সালকে বলা হচ্ছে সব থেকে বেশি দুর্যোগের বছর আর এই বর্ধিত দুর্যোগ আসছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। আমরা আশ্চয্য হই কেন বিশ^ নেতৃত্তের টনক নড়ছেনা।
শাহীন আনাম বলেন, বড় বড় দেশগুলো যুদ্ধের জন্য বিলিয়ন-ট্রিলিয়ন টাকা খরচ করছে। যে যুদ্ধের জন্য দুনিয়া গরদ করার সম্ভাবনা আছে। অথচ যেটার জন্য টাকা দিলে পৃথিবী বাঁচবে সেখানে তারা টাকা দেবে না। ইলন মাস্ক বিপুল টাকা খরচ করে টুইটার কিনেছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কিছু করবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।