নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মাচটি শেষ হবার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি ভিডিও। যেখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, বল হাতে না নিয়েও ‘থ্রে’র ভঙ্গি করছেন বিরাট কোহলি। অথচ এটি আইসিসির পরিষ্কার আইন লঙ্ঘন।
ফেক ফিল্ডিংয়ে পেনাল্টি দেওয়ার এই নিয়ম চালু হয়েছে বছর পাঁচেক ধরে। একটা সময় ছিল, ব্যাটসম্যান কোনো শট খেলার পর ফিল্ডার ফিল্ডিং করতে গিয়ে বল না ধরেই থ্রো করার ভান করতেন। তাতে অনেক সময়ই ব্যাটসম্যানরা রান নেওয়ার সময় বিভ্রান্ত হয়ে যেতেন। সেক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে রান আউটের সুযোগ তৈরি হতো। ফেক ফিল্ডিং ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ২০১৭ সালে আইসিসি নিয়ম চালু করে পেনাল্টির। আইনের ৪১.৫.১ ধারা অনুযায়ী, কোনো ফিল্ডার তার কথা বা কাজ দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাটসম্যানের মনোযোগ ভিন্নমুখী করলে বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা কিংবা বাধার সৃষ্টি করলে, তা অন্যায্য হবে। সেক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে ব্যাটিং দলের সঙ্গে ৫ রান যোগ হয় এবং বলটিকে ঘোষণা করা হয় ‘ডেড’।
নিয়ম অনুযায়ী, ফিল্ডার ইচ্ছাকৃতভাবে এরকম কিছু করেছেন কিনা, সেটির চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার আম্পায়ারদের বা মাঠের কোনো একজন আম্পায়ারের। সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া ভিডিও ক্লিপটি দেখে এটিকে পরিষ্কার ফেক ফিল্ডিং বলেই মনে হয়েছে। উইকেটে থাকা ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত তাৎক্ষনিক অভিযোগ করেন আম্পায়ারের কাছে। তবে তারা ভ্রুক্ষেপ করেননি। উল্টো জানান, এরকম কিছু তাদের চোখে পড়েনি। যদিও ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, লেগ আম্পায়ারের খুব কাছেই ছিলেন কোহলি। ওই ওভার শেষেই বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। বৃষ্টি বিরতিতে বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরণ শ্রীরামও আম্পায়ারদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন এটা নিয়ে। আম্পায়াররা তখনও বলেন, তারা এরকম কিছু দেখেননি।
ফেক ফিল্ডিংয়ের এই ঘটনা নিয়ে টানা তিনটি টুইট করেছেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। সেখানে এই ভারতীয় কৈফিয়ত দেবার সুরে লিখেছেন, ‘আম্পায়াররা, ব্যাটসম্যানরা, ধারাভাষ্যকাররা, কেউ তখন এটা খেয়াল করেননি।’ সেটি নজর এড়ায়নি বাংলাদেশ দলের ভারতীয় অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরনের। পাল্টা টুইটে তিনি জবাব দেন, ‘এই ঘটনায় আম্পায়াররা যেমন বলেছেন যে তারা এটা দেখেননি, তাহলে সফট সিগন্যালের বেলায় আমি কিভাবে তাদেরকে বিশ্বাস করব যে সঠিক সিদ্ধান্তই তারা নিয়েছেন? ওই সিন্ধান্তটি তো হতে পারে ক্যারিয়ারের ভাগ্য গড়ে দেওয়া বা ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়া মুহ‚র্ত!’
শ্রীনিবাসের এই টুইট থেকেই পরিষ্কার ইঙ্গিত, আম্পায়ারদের দেখতে না পারার যুক্তিতে খুব একটা ভরসা নেই বাংলাদেশ দলের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।