Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে চক্রান্ত সহ্য করা হবে না

বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৪৭ পিএম

মাদরাসা শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। যারাই ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে তারা আস্তাকুড়ে নিক্ষীপ্ত হবে। ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে চক্রান্ত সহ্য করা হবে না। আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
ইসলামী আইনজীবী পরিষদ ঃ ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান শেখ, সেক্রেটারী জেনারেল অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হানিফ শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলামী শিক্ষা সঙ্কোচন নীতির তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামী শিক্ষা ও দ্বীনিয়াত শিক্ষা আছে, থাকবে। এখন দেখছি সিলেবাসে ইসলামী শিক্ষা রেখে পাবলিক পরীক্ষা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তার মানে গাছের গোড়া কেটে ঢালে পানি দেয়ার নামান্ত। আইনজীবী নেতৃবৃন্দ বলেন, মাদরাসা শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। যারাই ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে তারা আস্তাকুড়ে নিক্ষীপ্ত হবে। ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে চক্রান্ত সহ্য করা হবে না
আজ এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতের মোদির আদর্শের আলোকে প্রণীত সিলেবাস এদেশে চলতে পারে না। তারা সকল ধর্মের অনুসারীদের জন্য যার যার ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান। সেইসাথে মুসলমানদের জন্য শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ঢাকা মহানগর ঃ জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাফেজ মাওলানা ইউনুছ ঢালী ও সাধারণ সম্পাদক মুফতী বাছির উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, প্রশাসনে কর্মরত ইসলাম বিদ্বেষী অনেকেই সরকারকে বিতর্কিত করছে। মাদরাসা শিক্ষায় ভিনদেশি সংষ্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। সিলেবাস থেকে ইসলামী শিক্ষা নামেমাত্র রেখে কৌশলে বাদ দেয়ার আয়োজন সম্পন্ন। মাদরাসা শিক্ষা সিলেবাসের মধ্যেও হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা সংযোজন করে ইসলামী ও মাদরাসা শিক্ষার স্বাতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্য বিনষ্টের গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওলামা মাশায়েখ নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেবাসে ভিনদেশি আদর্শ প্রতিষ্ঠার চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে দেয়া হবে না। তারা অবিলম্বে শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি ঃ বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হোরায়রা ও মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালেক নূরী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে বাস করে মাদরাসা শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার ও সিলেবাস বদলিয়ে ভিনদেশি সংষ্কৃতি চালু করার সাহস তারা কোথা থেকে পেল? তাদের খুঁটির জোর কোথায়? বৃটিশ, পাকিস্তান বা তার পূর্বের কেউ ইসলামী শিক্ষার কারিকুলাম পরিবর্তন করার সাহস পায়নি। আর এখন গুরুত্বপূর্ণ সকল পদে বসে এ দেশের মুসলমানকেও তারা রামরাজ্যের মত আচরণ দেখাচ্ছে। একটা কথাই শুধু বলতে চাই " দিল্লী হানুজ দুরাস্ত" আপনাদের এই স্বাদ ও অভিলাষ এ ভূখন্ডে কখনও পূর্ণ হবে না। এ দেশের মাটির গভীরে ইসলামের শিকড়। জীবনে কখনো এ কল্পনা করবেন না। আমরা সরকারের নিকট আবেদন জানাচ্ছি এসব যারা করছে তাদেরকে প্রশ্রয় দেয়া হলে এদের কারণে সরকারের ভাব মর্যাদা ভুলুন্ঠিত হবে। সরকারের মহাক্ষতি সাধন করবে তারা। সুতরাং মাদরাসা শিক্ষার সিলেবাস ও কারিকুলাম ইসলামী বিশেষজ্ঞরা করবে আর হিন্দু বিশেষজ্ঞরা তাদের সিলেবাস প্রণয়ন করবে । এর চেয়ে সহজ কথা আর কিছু নেই। অন্য কোন উদ্দেশ্য নিয়ে নাক গলালে হিতে বিপরীত হবে বলে নেতৃদ্বয় হুঁশিয়ার করে দেন।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ ঃ মাদরাসা শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে দেশের বিরানব্বই ভাগ মুসলমান বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ ও সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম। এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভিনদেশের আদর্শের আলোকে যে সিলেবাস প্রণয়ন করছে সরকার তা থেকে ফিরে আসতে হবে। অন্যথায় দেশময় আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠলে আখের রক্ষা হবে না। তারা বলেন, এদেশের মুক্তিযোদ্ধা জীবনবাজী রেখে এজন্য যুদ্ধ করেনি যে, ইসলামী শিক্ষা ও দ্বীনিয়াত শিক্ষা থাকবে না। এদেশ স্বাধীন হয়েছিলো ইসলামের ভিত্তিতে এবং আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেই। এজন্যই স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণ শেষে বলেছিলেন ইনশাআল্লাহ। এখন ইসলাম নিয়ে এত এলার্জি কেন ? জনগণ জানতে চায়। তারা সকল ধর্মের অনুসারীদের জন্য যার যার ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ