Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিমানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত আরও ৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২২, ৪:৩৩ পিএম

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীর আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা- লালবাগ বিভাগ।

গ্রেপ্তাররা হলো- ডিজিএম সিকিউরিটির এমটি অপারেটর মো. মাসুদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও অফিসের এমএলএসএস মো. জাহিদ হাসান, পরিচালক প্রশাসন অফিসের এমএলএসএস সমাজু ওরফে সোবাহান, ওয়ার্কশপ হেলপার মো. জাবেদ হোসেন এবং ফ্লাইট অপারেশনের এমএলএসএস মো. জাকির হোসেন।

এর আগে ২১ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ এ ঘটনায় আওলাদ হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এনামুল হক, মো. হারুন-অর-রশিদ ও মাহফুজুল আলম নামের আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছিলো।

বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের সময় সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের ৩২টি চেক, ১৭টি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ১৪টি মোবাইল ফোন, ১টি মোটরসাইকেল, ৩টি ডায়েরি, ফাঁস হওয়ার প্রশ্নপত্রের হার্ডকপি ও সফট কপি এবং নিয়োগ প্রার্থীদের প্রবেশপত্র ৫৪টি।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান বলেন, ‌২১ আগস্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের ১২টি পদে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু একটি অসাধু চক্র বিমানের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে ওই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে নিয়োগ প্রত্যাশী প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ফটোকপি ও সফট কপি বিক্রি করার তথ্যের ভিত্তিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, ঢাকার লালবাগ বিভাগ অভিযান চালায়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বিমানের পরিচালকের (প্রশাসন) অফিস কক্ষের ফটোকপি মেশিনে ফটোকপি করার সময় এমএলএসএস জাহিদ হাসান সম্পূর্ণ প্রশ্ন মোবাইলে ধারণ করে তার সহকর্মী সহযোগী এমএলএসএস সমাজ (ছ) সোবাহান ও অন্যদের সহযোগিতায় নিয়োগ প্রার্থীদের কাছে বিক্রি করে। গ্রেপ্তার এমটি অপারেটর (ড্রাইভার) জাহাঙ্গীর আলম, এমটি অপারেটর মাহাবুর আলম ও এমটি অপারেটর মাসুদ হোসেন বেশ কয়েক বছর ধরে এই নিয়োগ-বাণিজ্য ও নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ গত ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য নিয়োগ পরীক্ষাটি বাতিল করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় পাঁচ জনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে উচ্চ পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, প্রিন্টিং, সংরক্ষণ, পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো এবং পরীক্ষা পরিচালনা করার জন্য কমিটি গঠন করে দেয়। কমিটি প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ও যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা করা হয়। কমিটির সদস্যদের গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় গত ২৬ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। মামলাটি গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগে তদন্তাধীন আছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ