Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বৈধ চ্যানেলেই হচ্ছে অর্থপাচার

বছরে গড়ে পাচার হচ্ছে ৬৪ হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে তার কোনো তথ্য নেই বিএফআইইউ’র কাছে অর্থপাচার ঠেকানো যাচ্ছে না; ফেরতও আনা যাচ্ছে না

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০২২, ১:২৩ এএম

প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) এখন আলোচিত চরিত্র। গত মে মাসে ভারতে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে মোট ৩০ হাজার কোটি টাকা পাচার নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। পি কে হালদার ভারত, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরো কয়েকটি দেশে অর্থপাচার করেছেন দুদক এমনটাই বলছে। গ্রাহকের ৯০০ কোটি টাকা আত্মসাত করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পাচার করেছে ই-অরেঞ্জ নামের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। নেপথ্যে থাকা বনানী থানার বরখাস্তকৃত ওসি শেখ সোহেল রানাকে এখনো ভারত থেকে দেশে ফেরত আনা যায়নি। পি কে হালদার ও ওসি শেখ সোহেল রানাই শুধু নয়, দেশের শত শত প্রভাবশালী দেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার করছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশে অর্থপাচারের সঙ্গে আমলারাই বেশি দাবি করলেও বাস্তবে মন্ত্রী, এমপি, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি রাজনৈতিক দলের নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের সত্যতা মেলে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের দেয়া তথ্যে। তারা জানিয়েছে, ওই ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গত সোমবার অর্থপাচারের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে। বিএফআইইউ বলছে, দেশের আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) ও কার্যক্রম বেড়েই চলছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ৫৭১টি।

জানতে চাইলে অর্থনীতির বিশ্লেষক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের ঘটনা সবারই জানা। কানাডায় বেগমপাড়া, অন্য দেশে আরেক পাড়া তারই প্রমাণ। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ না হওয়ায় টাকা পাচার বেড়েছে। দুর্নীতিও টাকা পাচারের অন্যতম কারণ। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এমডিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বলছেÑ পণ্যের মূল্য বেশি দেখিয়ে আমদানি করে অর্থপাচার করা হয়। আমি মনে করি তা আটকানো সম্ভব। কারণ যেসব পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয় সেটা আন্তর্জাতিক বাজারে যাচাই করলেই দেখা যাবে পণ্যের দাম বেশি দেখানো হয়েছে কি না। একটি পণ্যের দাম যদি ২০০ ভাগ বেশি দেখানো হয় তাহলে তা ধরা পড়ে না কেন? একইভাবে রফতানি পণ্যের দাম কম দেখালেও তা ধরা সম্ভব। অর্থপাচার বিষয়টি দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। তারা সেটা দেখছে না কেন? বাংলাদেশ ব্যাংক যে হিসাব দিয়েছে তাতে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থপাচার বাড়ছে। এর একটি কারণ হতে পারে ডলারের সাথে নানা ধরনের বিনিময় হার। অর্থপাচার বা মানিলন্ডারিং। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ক্রমিক নং-২(ক) ১ অনুযায়ী, ‘দেশে বিদ্যমান আইনের ব্যত্যয় ঘটাইয়া দেশের বাহিরে অর্থ বা সম্পত্তি প্রেরণ বা রক্ষণকে অর্থ বা সম্পত্তি পাচার হিসেবে বলা হয়েছে’। যদিও দেশে অর্থপাচার আকস্মিক বা অপরিচিত কোনো ঘটনা নয়, অনেক দিন ধরেই তা হয়ে আসছে। তবে বর্তমানে এর ব্যাপ্তি বিশাল আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে পাচার হচ্ছে ৬৪ হাজার কোটি টাকা। আর আগামী বছর নির্বাচন তাই অন্যান্যবারের মতো নির্বাচনের আগে অর্থপাচার বাড়বে বলে ইতোমধ্যে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ওয়াশিংটনভিত্তিক গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০২০, ৫ বছরে পাচারকারীরা ৩ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। যার মধ্যে শুধু ২০১৫ সালে ১ বছরেই দেশ থেকে পাচার হয়ে যায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। আর এর আগের ১০ বছরে আমদানি ও রফতানির প্রকৃত তথ্য গোপন করে (২০০৬ থেকে ২০১৫) বাংলাদেশ থেকে ৬ হাজার ৩০৯ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের সাড়ে ১৭ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে পাচার হচ্ছে বলে দাবি আন্তর্জাতিক সংস্থাটির। পাচারকৃত টাকার পরিমাণ বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ায় পাচারকারী দেশ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। যদিও বিদেশে টাকা পাচার রোধ, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে আর পাচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে একযোগে কাজ করছে রাষ্ট্রের ৮টি সংস্থা। তবুও ঠেকানো যাচ্ছে না পাচার। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশ থেকে পাচার হওয়া প্রায় ১০ লাখ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ২১ কোটি টাকা ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে শুধুমাত্র সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার তথ্য প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিকদের জমা করা টাকার পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। গত জুনে প্রকাশিত সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২১ সালে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে এই অর্থের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। প্রতি বছর দেশের পাচার হওয়া এসব টাকা চলে যাচ্ছে কানাডা, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ডসহ ১০টি দেশে। আমদানি-রফতানিসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কারসাজি আর হুন্ডির আড়ালে অর্থপাচার করছে পাচারকারী সিন্ডিকেট। এমনটাই বলছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থপাচার মনিটরিং সংস্থা- বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। যদিও বিদেশে অর্থপাচারের বিষয়টি গত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে বিএফআইইউ। এর আগে প্রাতিষ্ঠানকিভাবে কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে অর্থপাচারের কথা স্বীকার করার নজির নেই। তবে ঠিক কী পরিমাণ অর্থপাচার হয়েছে তার কোনো তথ্য নেই সংস্থাটির কাছে। একই সঙ্গে যেটা একবার পাচার হয় সেটা ফেরানো সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছে বিএফআইইউ। বিএফআইইউ বলছে, দেশের আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) ও কার্যক্রম বেড়েই চলছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ৫৭১টি। অর্থাৎ এ সময়ে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৬২ দশমিক ৩২ শতাংশ বা ৩ হাজার ২৯১টি। ২০২০-২১ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২৮০টি।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানি-রফতানির পাশাপাশি হুন্ডির মাধ্যমেও অর্থপাচার হচ্ছে। দেশের বাইরে তারকা হোটেল, বিলাস প্রাসাদসহ বিভিন্ন সম্পদ গড়া এখন অনেকের শখের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। যদিও বৈধ পথে অর্থ নিয়ে এমন বিনিয়োগের সুযোগ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ ব্যাংক যে হিসাব দিয়েছে তাতে ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থপাচার বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এনবিআর ও কাস্টমস তারা চাইলেই ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাচার বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে পাচার করা টাকা ফেরানোর বিষয়টি পুরোপুরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খান বলেছেন, সংসদ সদস্য, বড় ব্যাংকার থেকে শুরু করে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা পাচারের সঙ্গে জড়িত। তাদের ক্ষমতা এবং প্রভাবের কারণে এই অপরাধ বন্ধ করা যাচ্ছে না।

সূত্র মতে, বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরানোর ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগের অভাব স্পষ্ট। পাচার হওয়া সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আইনানুযায়ী পাচার করা সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য চাইতে পারছে না বাংলাদেশ। ফলে অনেক দেশ তথ্য দিচ্ছে না। যদিও এ ধরনের তথ্য চাওয়ার মতো একক কোনো সংস্থা দেশে এখনো গড়ে উঠেনি। যারা কাজ করছে তাদের মধ্যে সে অর্থে সমন্বয় নেই। বর্তমানে দেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) এ ব্যাপারে কিছু কাজ করছে। কিন্তু পাচার করা সম্পদ ফেরানোর ক্ষেত্রে সব সংস্থার কার্যক্রম তদারকির বিষয়ে তাদের আইনি ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। ফলে তদারকির বিষয়টিও খুব বেশি এগোচ্ছে না। সূত্র জানায়, সংস্থাগুলো যদি সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে তবে পাচার করা সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। ২০০৭-০৮ সালে তাৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য চেয়ে অনেক দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। বিএফআইইউ থেকেও সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য চেয়ে অনেক দেশ থেকে সংগ্রহ করার নজির রয়েছে। কিন্তু বড় বড় পাচারকারীদের ব্যাপারে কোনো তরফ থেকেই তথ্য চাওয়া হচ্ছে না।

যদিও অবশেষে অর্থপাচার নিয়ে বিএফআইইউ গত ২৬ অক্টোবর উচ্চ আদালতকে জানায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ১০টি দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে চায় তারা। এ জন্য তিন মাস সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকই বলছে পাচার করা অর্থ ফেরত আনা কঠিন। শতকরা দুই ভাগের মতো ফেরত আনা যায়। এর আগে, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে অর্থপাচারের অভিযোগ থাকা ৬৭ বাংলাদেশির অর্থ জমা সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ৬৭ জনের তথ্য চাওয়া হলেও মাত্র ১ জনের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে সুইস ব্যাংক। পরে বিএফআইইউয়ের কাছে চাওয়া প্রতিবেদনটি গ্রহণ না করে বিএফআইইউ প্রধানকে তলব করেন হাইকোর্ট।

এদিকে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে থাকা বিভিন্ন দেশের ব্যাংক হিসাবের তথ্য ভারতসহ ৯০টি দেশের কাছে তুলে দিয়েছে সুইজারল্যান্ড। ওই তালিকায় নেই বাংলাদেশ। ফলে বাংলাদেশের কোনো নাগরিক সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে অর্থ জমা করছেন, তা জানা যায়নি। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন তথ্য পেতে তেমন তৎপরতাও নেই। অর্থাৎ সরকার জানতে চায় না, কারা বিদেশে অর্থপাচার করছেন। যদিও সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থ প্রতি বছর বাড়ছে। অবশ্য বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির এমন কোনো চুক্তি নেই। ফলে বাংলাদেশকে তথ্য দেয়া হয়নি। অবশ্য অর্থপাচার প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা বিএফআইইউ কর্মকর্তারা বলছেন, এমন চুক্তির জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে; বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। কারণ, এখানে কর ফাঁকির বিষয়টি যুক্ত। অন্য দেশগুলো সেভাবেই তথ্য পাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে এই অর্থপাচার যে বন্ধ করা যায় তা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন কেন বলছে? তারা তো এই টাকা পাচার বন্ধে আগেই উদ্যোগ নিতে পারত। বাংলাদেশ ব্যাংক এনবিআর ও কাস্টমস এরা চাইলেই ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাচার বন্ধ হয়ে যাবে। আর পাচার করা টাকা ফেরানোর বিষয়টি পুরোপুরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত হলে অনেকে ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য চাওয়া সম্ভব। সে সক্ষমতা দেশি সংস্থাগুলোর অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অভাবে পাচার করা সম্পদ ফেরানোর বিষয়টি আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।



 

Show all comments
  • আলি ৩ নভেম্বর, ২০২২, ৩:২২ এএম says : 0
    লুটপাট করে এদেশের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • আলি ৩ নভেম্বর, ২০২২, ৩:২২ এএম says : 0
    আ.লীগের নেতারাই এ দেশ থেকে টাকা বিদেশে পাচার করছে
    Total Reply(0) Reply
  • আহমদ ৩ নভেম্বর, ২০২২, ৩:২৪ এএম says : 0
    রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অভাবে পাচার করা সম্পদ ফেরানোর বিষয়টি আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • আহমদ ৩ নভেম্বর, ২০২২, ৩:২৯ এএম says : 0
    পাচার করা সম্পদ ফেরানোর ক্ষেত্রে সব সংস্থার কার্যক্রম তদারকির বিষয়ে তাদের আইনি ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। ফলে তদারকির বিষয়টিও খুব বেশি এগোচ্ছে না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থপাচার

৬ মার্চ, ২০২১
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ