মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও দেশটির ক্ষমতার মসনদে বসতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বুথফেরত জরিপে এমন ইঙ্গিত মিলেছে। গতকাল (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সাড়ে তিন বছরের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ইসরাইলি ভোটাররা। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকালে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। কয়েক বছর ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার অচলায়তন ভেঙে বেরিয়ে একটি স্থিতিশীল সরকার প্রতিষ্ঠাই এ নির্বাচনের লক্ষ্য। তবে এ নির্বাচনের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ইস্যু হচ্ছে দুর্নীতির অভিযোগে বিচারাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কট্টর ডানপন্থি হিসেবে পরিচিত বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আবারও ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা।
নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলে বুথফেরত জরিপের প্রতিফলন ঘটলে ইসরাইলের রাজনীতিতে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটবে নেতানিয়াহুর। টানা ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত বছর নির্বাচনে হেরে যান দুর্নীতির অভিযোগের মুখে থাকা এই রাজনীতিক। ফলে এবারের নির্বাচনকে নেতানিয়াহুর প্রত্যাবর্তনের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট হিসেবে দেখা হয়েছিল। ইসরায়েল টেলিভিশনের জরিপ বলছে, নেতানিয়াহুর ডানপন্থী দল ১২০টি আসনের নেসেটে ৬১ বা ৬২টি আসন পাবে। নেতানিয়াহুর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড অবশ্য কোনও ধরনের পূর্বাভাসে কান না দিয়ে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে আগ্রহী।
গত বছর দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন নেতানিয়াহু। তখন অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন, এই দুর্নীতিবাজের হাত থেকে অবশেষে মুক্তি পাওয়া গেল। কিন্তু এটি যে কেবল সাময়িক মুক্তি, তা হয়তো অনেকেই আন্দাজ করতে পারেননি। এখন এই নেতানিয়াহুই ফের ক্ষমতায় আসতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জনমত জরিপে নেতানিয়াহু এগিয়ে থাকলেও তার ডানপন্থি লিকুদ পার্টি, গোড়া ইহুদি ও অন্যান্য কট্টর ডানপন্থি দলগুলো মিলে সরকার গড়তে প্রয়োজনীয় ৬১টি আসন নিশ্চিত করা থেকে এখনও অনেকটা দূরে রয়েছে। তবে নেতানিয়াহুর জোট যদি শেষ পর্যন্ত ৬১টি আসন জোগাড় করতে সক্ষম হয়, নেতানিয়াহুই হবেন প্রধানমন্ত্রী। সে ক্ষেত্রে তার মন্ত্রিসভা কট্টর ডানপন্থার চেহারাই পাবে। নেতানিয়াহু আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এবার প্রধানমন্ত্রী হলে ডানপন্থিদের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিক ইতামার বেন জিভির মতো কট্টরপন্থিদের নিয়েও সরকার গড়বেন তিনি।
নেতানিয়াহুর সম্ভাব্য সেই মন্ত্রিসভা নিয়ে জনমনে এরই মধ্যে একটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এর কারণ কট্টর ডানপন্থি ইতামার বেন জিভির ইসরাইলের নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি চরমপন্থি গোষ্ঠী থেকে উঠে এসেছেন। অতীতে তার বিরুদ্ধে সরাসরি সন্ত্রাসবাদকে সহযোগিতার অভিযোগ এমনকি ওই অভিযোগে অভিযুক্তও হয়েছিলেন তিনি। আজও তিনি সেই দৃষ্টিভঙ্গিই পোষণ করেন। স্থানীয় আরবদের ‘ইসরাইল রাষ্ট্রবিরোধী’ অভিহিত করে তাদের বাস্তুচ্যুত করার পক্ষে ওকালতি করেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলপন্থি গোষ্ঠী এআইপিএসি বা আইপ্যাক ইতামার বেন জিভির ও তার নেতৃত্বাধীন কট্টর ইহুদিবাদী দল জিইয়িশ পাওয়ার পার্টির কঠোর সমালোচনা করে আসছে। আইপ্যাকের মতে, জিইয়িশ পাওয়ার পার্টি একটি বর্ণবাদী দল। তবে নেতানিয়াহু বলছেন, বেন জিভির আগের অবস্থান বদলে এখন ‘মডারেট’ তথা ‘মধ্যপন্থি’ হয়ে গেছেন। সূত্র : বিবিসি নিউজ, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।