Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত দেবোরাহ ব্রোনার্টকে তলব করছে রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২২, ৯:১৮ পিএম

কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতকে তলব করছে রাশিয়া। বুধবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গত শনিবার অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের বৃহত্তম বন্দরনগরী সেভাস্তোপলের কাছে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার অভিযোগে খাদ্যশস্য চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয় মস্কো।

ওই দিন এক বিবৃতি দিয়ে মস্কো ইউক্রেনের বন্দর থেকে কৃষি পণ্য রপ্তানির চুক্তি বাস্তবায়‌নে রাশিয়ার অংশগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানায়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ব্রিটেনের নৌবাহিনীর বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ইউক্রেন ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তবে ব্রিটেন শুরু থেকেই রাশিয়ার আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, এসব কর্মকাণ্ড ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনায় বাস্তবায়িত হয়েছে।

‘এ বিষয়ে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে শিগগিরই রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হবে।’ বর্তমানে মস্কোতে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত আছেন দেবোরাহ ব্রোনার্ট। বিশ্বের অন্যতম দুই প্রধান খাদ্য ও জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে ৮ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বৈশ্বিক এই সংকটের সমাধানে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় গত ২২ জুলাই কিয়েভ এবং মস্কোর কর্মকর্তারা ইউক্রেনে আটকা আড়াই কোটি টন গম ও ভুট্টা বিশ্ববাজারে সরবরাহের লক্ষ্যে তুরস্কে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

চুক্তির ফলে ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু হওয়ায় বৈশ্বিক খাদ্য সংকট এবং বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্যের দাম কমবে বলে আশা করা হয়। চুক্তির আওতায় ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানির কাজ তদারকির জন্য তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র (জেসিসি) চালু করা হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেনে আটকা শস্য বহনকারী বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ যেন নিরাপদে কৃষ্ণসাগরে চলাচল করতে পারে, সেজন্য তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় একটি যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হয়। সেই কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে জাতিসংঘ, রাশিয়া ও তুরস্ক।

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর বহুল আলোচিত এই চুক্তি থেকে রাশিয়ার বিদায় আট মাসের যুদ্ধে নতুন মোড় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ সম্প্রতি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর পাল্টা প্রতিরোধে দখলকৃত কিছু এলাকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন রুশ সৈন্যরা। রাশিয়ার অনবরত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের উৎপাদন সক্ষমতা ৩০ শতাংশেরও বেশি ধ্বংস হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ