Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবাকে সকলের জন্য সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য করে তুলবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৫১ পিএম

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা দীর্ঘকাল ধরে শুধুমাত্র রোগ নিরাময়ভিত্তিক চিকিৎসাতেই সীমাবদ্ধ ছিল, যদিও সারা বিশ্বে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা একটি জাতির মোট স্বাস্থ্য ঝুঁকি, সেবার খরচ এবং সময় কমিয়ে দিতে পারে।‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশে এখন একটি শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো রয়েছে যা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবাকে সকলের জন্য সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য করে তুলবে। এ পরিস্থিতিতে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার কার্যকারিতা নিয়ে সিমেড হেল্থ সম্প্রতি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে "বাংলাদেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার সম্ভাবনা" শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করেছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার  বর্তমান অবস্থা ও এর ব্যয় কমাতে প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক সেবার  প্রয়োজনীয়তা, প্রতিটি ব্যক্তির ডিজিটাল স্বাস্থ্য অ্যাকাউন্ট থাকার গুরুত্ব,  প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘরে ঘরে স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেওয়া ইত্যাদি নানাবিধ বিষয়কে কেন্দ্র করে গোলটেবিল বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। একই সাথে দেশের শহর এবং গ্রামাঞ্চলে জেনারেল প্র্যাকটিশনার (জিপি) মডেল এর প্রয়োগ, কর্পোরেট এবং ফ্যাক্টরির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার সম্ভাবনা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কমিউনিটি স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ফার্মেসির ভূমিকা সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়।

গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন সিমেড হেল্থের প্রতিষ্ঠাতা- অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন, পিএইচডি এবং সিওও- মোঃ আশরাফ দাউদ; ডিরেক্টর ও হেড অব গ্রোথ - মইনুল এইচ চৌধুরী; হেড অব মেডিকেল সার্ভিসেস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট - ডাঃ এ কে এম নাজমুল ইসলাম। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) এর উল্লেখযোগ্য সাংবাদিকবৃন্দ এবং অন্যান্য সম্মানিত মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সাথে এই স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনার পর আমন্ত্রিতদের সুস্বাস্থ্য অ্যাপের মাধ্যমে ডিজিটাল হেলথ স্ক্রিনিং দেওয়া হয়।

সিমেড হেল্থ একটি স্বাস্থ্য-প্রযুক্তি স্টার্টআপ যা স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে ৩৬০-ডিগ্রি প্রতিরোধমূলক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে। এটি ৩.৬ মিলিয়ন মানুষকে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দেবার মাধ্যমে সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট গোল এর সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এগিয়ে যাচ্ছে। এইমস ল্যাব (ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) থেকে শুরু হয়ে সিমেড অনেক পুরস্কার পেয়েছে যেমন: এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যাওয়ার্ডস (APICTA) ২০১৯, সীডস্টার্স গ্লোবাল ইনোভেশন প্রাইজ ২০১৮, ডিবিএস-এনইউএস সোশ্যাল ভেঞ্চার চ্যালেঞ্জ ২০১৮ -এ উদ্ভাবনী সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ অ্যাওয়ার্ড, জিপি এক্সিলারেটর এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগ থেকে উদ্ভাবন অনুদান পেয়েছে। সুস্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, সিমেড ডিজিটাল হেলথ কর্নার - একটি কর্পোরেট স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প  এবং সুস্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র - ফার্মেসির মাধ্যমে প্রদত্ত একটি কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবা সমাধান - শুরু করেছে । এছাড়া রয়েছে জেনারেল প্র্যাকটিশনার (জিপি) মডেল - একটি  প্রতিরোধমূলক ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা যেখানে একটি পরিবারকে শুধুমাত্র ১০০ টাকা হেল্থ-কার্ডের মাধ্যমে মাসজুড়ে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। সিমেড হেলথ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, পিকেএসএফ এর ৫৮টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, ইউনিসেফ, ব্র্যাক এর সাথে কাজ করে। সিমেড হেলথ, বিস্ক্যান, বলতে চাই এবং অটিজম বার্তা অ্যাপস তৈরি করেছে যার জন্য অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন, পিএইচডি- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জাতীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন।

 


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ