Inqilab Logo

বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সউদী আরব মুসলিম জাহানের নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশ

রিয়াদে খ্রিস্টানদের হ্যালোইন উৎসব-----

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৪৪ পিএম

সউদী আরবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় খ্রিস্টানদের হ্যালোইন উৎসব পালনের ঘটনায় বিভিন্ন সংগঠনের নিন্দা ও প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সউদী আরবে বেশ ধুমধাম করেই খ্রিস্টানদের হ্যালোইন উৎসব পালন করে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। খ্রিস্টানদের একটি উৎসবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশটির সরকার ইসলামের আদর্শের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ ঃ সউদী সরকারে ক্ষমতাসীন শাসক গোষ্ঠী খ্রিস্টানদের উৎসবে পৃষ্ঠপোষকতা করে ইসলামের আদর্শের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করে সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদের মহাসচিব মাাওলানা আনোয়ার হোসাইন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, সউদী আরবে খ্রিস্টানদের হ্যালোইন উৎসব পালনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
তিনি বলেন, সউদী আরবে বেশ ধুমধাম করেই খ্রিস্টানদের হ্যালোইন উৎসব পালন করে বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে ব্যথিত ও মর্মাহত করেছে। খ্রিস্টানদের উৎসবে আগতরা সউদী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ডিজাইন করা কস্টিউম পরেন। অনেকে পরিবার নিয়ে যোগ দেন এ উৎসবে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মজা, রোমাঞ্চ এবং যৌন উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি করা। যা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম। তিনি বলেন, ইসলামের বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে অনেকেই সউদী আরবকে অনুসরণ করে থাকেন। ইসলামবিদ্বেষী হ্যালোইন উৎসব পালনের সাধারণ মানুষকে ইসলাম থেকে দূরে সরানোর চক্রান্ত থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এ উৎসবে আতশবাজির আয়োজন করা হয় যা ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়। হ্যালোইনের থিম হলো ‘হাস্যরস ও উপহাসের সাহায্যে মৃত্যুর ক্ষমতার মুখমুখি হওয়া’। এভাবেই ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে মানুষ আল্লাহবিমুখ হিসেবে গড়ে তোলার চক্রান্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, ইসলামের ঐতিহ্যমন্ডিত সউদী আরবকে এধরনের ইসলামবিরোধী কর্মকান্ড থকে বিরত থাকতে হবে।
উম্মাহ কল্যাণ সংস্থা ঃ পবিত্র সউদী আরবের রিয়াদে হ্যালোইন উৎসব পালনের নিন্দা জানিয়ে উম্মাহ কল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ ইসমাঈল বুখারী বলেছেন, সউদী আরব এখনও মুসলিম জাহানের নেতৃত্ব প্রদানকারী দেশ। মক্কা ও মদীনা বুকে ধারণকারী সউদী আরবের প্রতি পুরো বিশ্বমুসলিমের আলাদা শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। শুধুমাত্র মক্কা-মদীনা নয়; হেজাজ, জেদ্দা, রিয়াদ এ নামগুলো উচ্চারিত হলে প্রিয় নবীজির ভালোবাসায় আমাদের হৃদয়গহীনে একধরনের পুলক অনুভব হয়। সেই পবিত্র শহরে-নগরে যখন একের পর এক পশ্চিমা নগ্ন সংস্কৃতির অবাধ অনুপ্রবেশ দেখি, তখন আমাদের হৃদয়জুড়ে হতাশা জাগে। অন্তরাত্মা ক্ষতবিক্ষত হয়। হৃদয়মন চৌচির হয়ে যায়। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সউদীর ভিশন ২০৩০ এর আওতায় অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক যে উদারনীতি গ্রহণ করা হয়েছে তার প্রতি আমাদের সম্মানবোধ রয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতির সূচকে সউদী আরব এগিয়ে যাক এটা আমরা মনেপ্রাণে কামনা করি। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এটা আমাদের প্রাণাধিক প্রিয় মহানবীর (সা.) পবিত্র জন্মভূমি। যে কোনো সংস্কারের ক্ষেত্রে কোরআন ও সুন্নাহর প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। সপ্তদশ শতাব্দীর মহান সংস্কারক মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাব ইসলামের মৌলিকতা রক্ষায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তার প্রতিও লক্ষ্য রাখা উচিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ