Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদি বুড়িগঙ্গার পূর্ণ রূপ ফিরে না আসা পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে : মেয়র তাপস

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০২২, ৬:১৪ পিএম

বুড়িগঙ্গা পূর্ণ রূপে ফিরে না আসা পর্যন্ত আদি চ্যানেলের দখলমুক্তিতে উচ্ছেদ অভিযান, খনন ও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, ‘আমরা অক্টোবর থেকে আদি বুড়িগঙ্গা খনন, সীমানা নির্ধারণ এবং দখল মুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করেছি। আজকে সেই কার্যক্রম পরিদর্শনে আমি আবারও এসেছি। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, কালুনগর স্লুইস গেইটের যেই জায়গাটিতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, অক্টোবর মাসেও এখানে পুরো বন্ধ অবস্থায় ছিল। এখানে যে নদীর খাল বা অববাহিকা তা দৃশ্যমান ছিল না। আজকে সেই নদীর পরিবেশ দৃশ্যমান হয়েছে। আমরা অনেক দখল মুক্ত করেছি। এখানে বিভিন্ন কারখানা, বড় বড় ভবন, দশতলা ভবনসহ স্থাপনাগুলো ভাঙার প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে। নদীর পাশ দিয়ে দুটি ঢাল বা দুটি তীর এখন দৃশ্যমান হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা পূর্ণরূপে আদি বুড়িগঙ্গা ফিরিয়ে আনতে না পারবো ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কাজ চলমান থাকবে।’

আজ বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান পরিষ্কার, খনন ও উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র একথা বলেন।

আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উদ্ধার সংশ্লিষ্ট পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আদি বুড়িগঙ্গার পুরো ৭ কিলোমিটারই দখল মুক্ত করে নতুন করে খনন করা হবে এবং দু’পাশ দিয়েই হাঁটার পথ, সাইকেল চালানোর পথ এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। এটা অত্যন্ত দুরূহ এবং বিশাল কর্মযজ্ঞ। শুরু করেছি মাত্র, তাই একটু সময় নিবে। কিন্তু আমরা আশাবাদী, ঢাকাবাসী একটি নান্দনিক পরিবেশ পাবে। নদীকে ফিরে পাবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেবলমাত্র কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজটি বর্ষা মৌসুমের আগে ভালো একটি অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। কারণ বর্ষার মধ্যে কাজ করা আরও দুরূহ। সুতরাং আমি মনে করি যে, আগামী মার্চের মধ্যেই আরও অনেক কাজ দৃশ্যমান করা যাবে। নদীর অববাহিকা দেখতে পাবো।’

এর আগে মেয়র ডেমরা এলাকায় দক্ষিণ সিটির ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন, ফ্রেঞ্চ রোডের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম ও মাজেদ সরকার সড়কের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অঞ্চল-৮ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ