মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : কারাবন্দিত্ব থেকে মুক্তির লক্ষ্যে চূড়ান্ত লড়াইয়ে হেরে গেছেন মালয়েশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম। গতকাল বুধবার দেশটির কেন্দ্রীয় আদালত সমকামিতার অভিযোগ ও পাঁচ বছরের কারাদ-ের রায়ের বিরুদ্ধে আনোয়ারের দায়েরকৃত আপিল খারিজ করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে দেয়া দ-ের বিরুদ্ধে রিভিউ চেয়ে দায়েরকৃত আবেদনের কোনো ভিত্তি নেই বলে দেশটির প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের বিচারক প্যানেল সর্বসম্মতিক্রমে এ রায় দেন। মুক্তি পেতে এটাই ছিল আনোয়ারের সামনে চূড়ান্ত আইনি প্রক্রিয়া। আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় তাকে বাকি ১৬ মাস কারাদ- ভোগ করতেই হচ্ছে। রায়ের পর আনোয়ার আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, এটাই পথের শেষ নয়। আমি শপথ করে নিজেকে নির্দোষ ঘোষণা করেছি। কিন্তু বিচারকগণ আমার আবেদনকে উপেক্ষা করেছেন। মুক্তির পথে এ হলো দীর্ঘ পদযাত্রা বলে উল্লেখ করেন তিনি। আদালতে রায় ঘোষণার সময় আনোয়ারের স্ত্রী, সন্তান এবং নাতি-নাতনিরাও উপস্থিত ছিলেন। ৬৯ বছর বয়সী এই নেতার সমর্থনে বাইরে জড়ো হয়েছিলেন অনেক সমর্থক। প্রায় চার বছর আগে মালয়েশিয়ার আদালত আনোয়ারের মুক্তির রায় খারিজ করে সমকামিতার অভিযোগে ৫ বছরের কারাদ- দেয়। আপিল কোর্টে তিন বিচারক সর্বসম্মতিক্রমে ভোটের মধ্য দিয়ে আনোয়ারের মুক্তির সেই রায় উল্টে দিয়ে তড়িঘড়ি এক রায়ে তাকে এ দ- দিয়েছিলন।
আনোয়ারের সমর্থকরাসহ আন্তর্জাতিক কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন এ রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দেয়ার চেষ্টা বলে সমালোচনা করেছে। ২০১৩ সালে মালয়েশিয়ার সাধারণ নির্বাচনে আনোয়ার শক্তিশালী নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। মালয়েশিয়ায় সমকাম অবৈধ হলেও এ পর্যন্ত বিচার হয়েছে খুব কম মানুষেরই। আনোয়ার বরাবরই তার বিরুদ্ধে সমকামের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করে আসছেন। মালয়েশিয়ার সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার এর আগে সমকামিতা এবং দুর্নীতির অভিযোগে ৬ বছরের কারাদ- প্রাপ্ত হন। ২০০৮ সালে এক পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে সমকামিতার অভিযোগে অভিযুক্ত হন তিনি। তবে প্রমাণের অভাবে ২০১২ সালে হাইকোর্ট তাকে এ অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। এরপরই সরকারপক্ষ তার মুক্তির রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এ রায়ই বাতিল তাকে কারাদ- দেয় আদালত। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।