মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি আলেপ্পোতে সশস্ত্র যুদ্ধের অবসান ঘটেছে। এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে দেশটির সরকার-সমর্থিত বাহিনী। বিদ্রোহীদের ওই এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিদ্রোহীরা এ বিষয়ক চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন এ তথ্য জানান। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ভিতালি চুরকিন জাতিসংঘের জরুরি সেশনে বলেছেন, সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পূর্ব-আলেপ্পোতে সামরিক অভিযানের অবসান ঘটেছে। এর আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে আলেপ্পো ত্যাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কার্যকরী হতে পারে। বিদ্রোহীদের পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদেরও আলেপ্পো ত্যাগ করার সুযোগ থাকবে বলে জানান চুরকিন। তিনি বলেন, বেসামরিক নাগরিকরা সেখানে অবস্থান করতে পারেন, সেখান থেকে নিরাপদ কোনো স্থানেও চলে যেতে পারেন। বিদ্যমান মানবিক আয়োজনের সুযোগ তারা নিতে পারেন। খবরে আরো বলা হয়, দীর্ঘ চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ার আলেপ্পোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘাত চলে আসছে। সিরিয়ার বেশিরভাগ জায়গা থেকেই নিজেদের গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল বিদ্রোহীরা। সর্বশেষ আলেপ্পোতেই তারা সুসংগঠিত রেখেছিল তারা। এখানে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নিতে সিরিয়া সরকারকে সশস্ত্র সহযোগিতা দিয়েছিল রাশিয়াও। এখন উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তি হওয়ায় এই অঞ্চলটিতে সশস্ত্র যুদ্ধের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। আলেপ্পো থেকে সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, গত কয়েক ঘণ্টায় ওই এলাকায় বোমা হামলা বা লড়াই হয়নি। তবে এই চুক্তির খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগেই জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে সিরিয়ার সরকারসমর্থিত বাহিনীর হাতে বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাহিনীর হাতে বেসামরিক নাগরিক হত্যার পক্ষে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র এধরনের নৃশংসতার জন্য সিরিয়া সরকারের পাশাপাশি দায়ী করেছে সিরিয়ার মিত্রশক্তি রাশিয়া ও ইরানকে। তবে রাশিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক সাংবাদিক জোনাথন মারকাস লিখেছেন, পূর্ব-আলেপ্পো নিয়ন্ত্রণে নেয়ার মাধ্যমে এখন দেশটির বেশিরভাগ অংশই এখন কার্যত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আলেপ্পো দেশটির সবচেয়ে জনবহুল শহর। গৃহযুদ্ধ শুরুর আগে শহরটি ছিল দেশটির অর্থনৈতিক প্রাণকেন্দ্র। এই শহরটির দখল নেয়া কেবল বাশার আল-আসাদের জন্যই বিজয় নয়, এটি আল-আসাদের সমর্থক ইরান ও রাশিয়ার জন্যও বিজয় হিসেবে গণ্য হবে। মারকাস লিখেছেন, কৌশলগত দিক থেকে মস্কোর জন্য আলেপ্পো বড় কিছু নয়। তবে সেখানে বিদ্রোহীদের পতন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের জন্য বড় একটি অর্জন। বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।