Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়া বিবি রাজি তো...!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পাকিস্তানের এক দম্পতির প্রেম কাহিনি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে জোর চর্চা। স্বামী কলেজের অধ্যাপক সাজিদ আলি (৫২) এবং স্ত্রী সেই কলেজের বি.কমের ছাত্রী জোয়া নুর (২০)। দু’জনের বয়সের পার্থক্য ৩২ বছরের। প্রেম কি আর বয়সের গণিত মানে! তবুও তারা আগামী দিনে এক সঙ্গে পথচলার জন্য পরস্পরের হাত ধরেছেন।

জোয়া নুরের ক্লাসে পড়াতেন সাজিদ আলি। পড়তে পড়তেই শিক্ষককে মন দেন জোয়া। সাজিদের ব্যক্তিত্বই ছাত্রীকে আকৃষ্ট করেছিল। বয়সের পার্থক্যকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে প্রেমের জোয়ারে নিজেকে ভাসিয়ে দেন জোয়া। তবে ছাত্রীর মতো হুটহাট প্রেমে মজেননি শিক্ষক।

শুরুতেই তিনি ছাত্রীর প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু সাজিদ প্রেমের টানে নিজেকে দূরে রাখতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তিনিও প্রেমের সাগরে ডুব মারেন। তারপরই দু’জনের চার হাত এক হয়। এক ইউটিউবারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেদের প্রেমের কাহিনি শুনিয়েছেন জোয়া ও সাজিদ।

জোয়া জানিয়েছেন, কলেজেই সাজিদকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। প্রথমে সায় না দিয়ে সাজিদ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ৩২ বছরের পার্থক্য। আমরা বিয়ে করতে পারি না’। তবে মনের মানুষকে কাছে পেতে জোয়া পিছপা হননি। প্রাথমিক ভাবে প্রস্তাব সাজিদ ফেরালেও তিনি ভেঙে পড়েননি। আবার, ছাত্রীকে বিয়ে করা নিয়ে সাজিদেরও কোনও ছুঁৎমার্গ ছিল না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন সাজিদ।

দু’জনের পরিবার থেকেই আপত্তি ওঠে। কিন্তু কথায় আছে না, ‘মিয়া বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজি’। তাই তাদের প্রেমে পরিণতির পথে শত আপত্তিও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। বর্তমানে সুখেই সংসার করছেন দু’জনে। সূত্র : ফ্লিপবোর্ড, টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ