গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
হঠাৎ তেল ফুরিয়ে অ্যাম্বুলেন্স অচল হয়ে পড়ায় রাস্তার পাশে সন্তান জন্ম দিলেন এক নারী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায়। প্রসব যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন প্রসূতি নারী। পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করলেন। প্রসূতিকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয় অ্যাম্বুলেন্সও। আর সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তারা। তবে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া গেল না প্রসূতিকে। মাঝপথেই রাস্তার পাশে প্রসব করতে বাধ্য হলেন নারী। শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রশ্ন আসতে পারে, অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিলেও রাস্তাতেই কেন ওই নারীকে সন্তান প্রসব করতে হলো? ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভুক্তভোগী ওই আদিবাসী নারীর নাম রেশমা। অন্তঃসত্ত্বা এই নারীর প্রসব যন্ত্রণা হওয়ায় ডাকা হয় অ্যাম্বুলেন্স। সরকারি প্রকল্পের আওতায় ডায়াল ১০৮ অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়।
সেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই যথা সময়ে শাহনগর কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের উদ্দেশে রওনা হয় পরিবারের সদস্যরা। তবে শেষ পর্যন্ত হেলথ সেন্টারে পৌঁছায়নি অ্যাম্বুলেন্সটি। শুক্রবার রাতে মাঝ রাস্তায় থেমে যায় সেটি। অ্যাম্বুলেন্সের চালক জানান, গাড়ির ডিজেল শেষ হয়ে গেছে। তাই গাড়ি আর যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।
ততক্ষণে প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ওই নারী। আর তাই বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশেই ডেলিভারি করা হয় ওই নারীর। মূলত কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্যে সেখানে সন্তান জন্ম দেন রেশমা। সংবাদমাধ্যম বলছে, শাহনগরের বানাউলিতে রাস্তার একপাশে দাঁড় করানো ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। আর তার পাশেই এবড়ো খেবড়ো মাটিতে বিছিয়ে দেওয়া চাদরের ওপর প্রসব করেন তিনি।
তবে রেশমাই প্রথম নন। এরকম ঘটনার নজির এর আগেও দেখেছে ভারত। হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই প্রসব করেছেন অনেক মা। তবে কিছুক্ষেত্রে প্রশাসনের ও যোগাযোগ ব্যবস্থার গাফিলতিও চোখে পড়ে।
অনেক সময় এমনও দেখা গেছে, অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো না আসায় প্রসবের সময় প্রাণ হারিয়েছেন মা। বা কোনও ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স নেই, ঠেলা গাড়ি বা লাঠিতে কাপড় বেঁধে স্ট্রেচার তৈরির মাধ্যমে নদী পার করে প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।