নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জয়ের পর উদযাপন করছিল টাইগাররা, দুই দলের খেলোয়াড়রাও মাঠ ছেড়ে গেলেন। ব্লেসিং মুজারাবানি প্যাড খুলে রাখলেন। কিন্তু শেষ বলের রোমাঞ্চকর জয়ের পরও উত্তেজনা ফুরালো না। গ্যাবার মাঠে আবারও শেষ বল করতে খেলোয়াড়দের ডাক পড়লো।
টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে,শেষ বলে স্টাম্পের আগেই বলটা গ্লাভসে নিয়ে ফেলেছেন। ফলে ক্রিকেটের আইনের মারপ্যাঁচে মুজারাবানি ফ্রি হিটে জিম্বাবুয়েকে ম্যাচ জেতানোর আরেকটি সুযোগ পেলেন এবং মোসাদ্দেক হোসেনের ওই বল থেকে চার রান লাগতো।
এবার সবকিছু ঠিকঠাক। মোসাদ্দেকের বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি জিম্বাবুয়ান ব্যাটসম্যান, বল সোহানের গ্লাভসে। তাতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুইবার জিতলো বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে বললেন নতুন এক অভিজ্ঞতার কথা,‘শেষ বলের (নো বল) পর আমরা নার্ভাস ছিলাম। আমি এমন কিছু কখনও দেখিনি, প্রথমবার।’
আইন অনুযায়ী নো বলই হয়েছে। আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনের ২৭.৩.১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, স্ট্রাইকার্স এন্ডে উইকেটকিপারকে সম্পূর্ণরূপে উইকেটের পেছনে থাকতে হবে, যতক্ষণ না বল খেলার মুহূর্তে বোলারের ডেলিভারি করা বল একজন স্ট্রাইকারের ব্যাট বা তাকে স্পর্শ করে কিংবা স্ট্রাইকার্স এন্ডে উইকেট অতিক্রম করে অথবা স্ট্রাইকার রানের চেষ্টা করে।
পরের ধারাতেই এই আইন লংঘনের কথা বলা হয়েছে। ২৭.৩.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উইকেটকিপার এই আইন লংঘন করলে স্ট্রাইকার এন্ডের আম্পায়ার বল ডেলিভারি হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব নো বলের সংকেত দেবেন।
টিভি স্ক্রিনে যখন স্টাম্পিং যাচাই করছিলেন থার্ড আম্পায়ার, তখনও নিশ্চিত জয় জেনে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা হাত মেলাতে থাকেন। বাউন্ডারি লাইনেও তারা চলে গিয়েছিলেন, যখন রিপ্লে দেখা শেষ হয়। তারপরই সাকিবদের আবার মাঠে ডাকা হলে সবার মুখে ছিল হতবাক হওয়ার ছাপ। শেষ পর্যন্ত তারা মাঠে নেমেছেন। দ্বিতীয়বার চাপ সামলে দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশের জয় অটুট রাখেন মোসাদ্দেক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।