নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে আশা বাঁচিয়ে রাখতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ জিততেই হতো বাংলাদেশকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১৫১ রানের টার্গেট দিয়ে বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা।
পেসার মোস্তাফিজ-তাসকিনদের অসাধারণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে ৩ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো সাকিব আল হাসানের দল। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৭ রান তোলে।
তবে শেষ ওভারে নাটক জমে উঠে। জিততে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। শেষ ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে বল তুলে দিলেন সাকিব আল হাসান। একটি করে ছক্কা ও চার, দুটি উইকেট, একটি ‘নো’ বল ও ফ্রি হিটের রোমাঞ্চকর ওভার শেষে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ। ওভারের প্রথম বলে লেগ বাই থেকে আসে এক রান। স্ট্রাইকে যাওয়া ব্র্যাড ইভান্স ছক্কার চেষ্টায় ধরা পড়েন স্কয়ার লেগ বাউন্ডারিতে আফিফ হোসেনের হাতে।
পরের বলে বাই থেকে উইকেটের পেছন দিয়ে ৪ চার পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। শেষ তিন বলে যখন ১১ রান চাই জিম্বাবুয়ের, মোসাদ্দেককে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কায় ওড়ান রিচার্ড এনগাভারা। টি-টোয়েন্টিতে যা তার প্রথম ছয়। পরের বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ছক্কার চেষ্টায় স্টাম্পড হয়ে যান এনগারাভা। শেষ বলে জমে সবচেয়ে বড় নাটকীয়তা। ব্লেসিং মুজারাবানিও উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় হয়ে যান স্টাম্পড।
জয়ের উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ। দুই দল মাঠ ছেড়েও চলে যান। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় স্টাম্পের আগে বল ধরেছেন কিপার নুরুল হাসান সোহান। ‘নো’ বল! তাতে আবার দুই দলকে নামতে হয়ে মাঠে। কিন্তু শেষ বলে ৪ চারের সমীকরণ আর মেলাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। মোসাদ্দেকের করা ফ্রি হিট বলটি ব্যাটেই লাগাতে পারেননি মুজারাবানি।
এর আগে ব্রিসবেন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে অবশেষে ১৫০ রানের দেখা পেল বাংলাদেশ। শান্তর দারুণ ইনিংসে বাংলাদেশের দেড়শ করতে সক্ষম হয়েছে। এদিন ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকার ফিরলেন কোন রান না করেই। সাকিব আল হাসান কিংবা লিটন দাস- আশা দেখিয়েও টানতে পারলেন না বেশিক্ষণ।
ব্যাট করতে নামার পর ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার। ব্লেসিং মুজারাবানির করা অফ স্টাম্প লাইনের বল কাভারে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ক্যাচ তুলে দেন উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো রেজিস চাকাভার হাতে। ২ বলে শূন্য রান করেন সৌম্য।
এরপর ক্রিজে আসা লিটন দাস তার স্বভাবমত দারুণ সব টাইমিংয়ের শট করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে মুজারাবানির বলে স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানে দাঁড়ানো চাতারার হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৩ চারে ১২ বলে ১৪ রান করেন লিটন। সাকিব ক্রিজে এসে শান্তর সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তাদের জুটিতে আসে ৫৪ রান। ২০ বলে ২৩ রান করার পর সাকিব আউট হন শন উইলিয়ামসের বলে। দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরেন মুজারাবানি।
ধীরে ধীরে হাত খুলতে থাকেন শান্ত। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান তিনি। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ফিফটিও এটি। হাফ সেঞ্চুরি হয়ে যাওয়ার পর রীতিমতো ঝড় তুলেন শান্ত। ব্র্যাড ইভান্সের করা ১৬তম ওভারে নেন ১৭ রান। যদিও বেশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারেননি শান্ত। শেষ অবধি সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ বলে ৭৭ রান করেন তিনি। শেষদিকে ১ চার ও ছক্কায় ১৯ বলে ২৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেনও। জিম্বাবুয়ের পক্ষে দুই উইকেট করে নেন মুজারাবানি ও এনগারাভা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।