Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জেলার ফুটবল নিয়ে অসন্তুষ্টি সালাউদ্দিনের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সাধারণ সভা নিয়ে এক সময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাউন্সিলরদের মাঝে অসন্তুষ্টি ছিল। তাদের ক্ষোভ ছিল নিয়মিত সাধারণ সভা না হওয়ায়। অবশ্য সেই আক্ষেপ এখন আর নেই। নিয়মিতই সাধারণ সভা করছে বাফুফে। ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর বর্তমান কমিটি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা করেছিল গত বছর ৩০ অক্টোবর। আর এ বছর তারা সাধারণ সভা করলো গতকাল। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত সাধারণ সভায় ২/১ জন কাউন্সিলর বাফুফের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্নবোধক বক্তব্য দিলেও বেশিরভাগই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে জেলার ফুটবল কার্যক্রম নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন স্বয়ং বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। সাধারণ সভার সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল আর্থিক প্রতিবেদন। সভা শেষে বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন সংক্ষিপ্ত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এ নিয়ে কোন কথা হয়নি। এক মিনিটেই সবাই আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছেন।’ অর্থাৎ এক মিনিটেই পাশ হয়েছে আর্থিক প্রতিবেদন! ব্রিফিংয়ে সালাউদ্দিন আরো বলেন,‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমার জেলা নিয়ে। একটা জিনিস আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা যে লিগ করি, আমাকে ফিফা কিন্তু বাধ্য করে না। তবুও আমি লিগ আয়োজন করি। কারণ, এটা আমার কাজ। জেলাগুলোয় যে সমস্যা হয়েছে, ওনারা লিগ করেন না। আমাদের দিকে চেয়ে থাকেন, আমরা কিভাবে সাহায্য করবো। এই সমস্যাটা আমি এখন সমাধান করতে পারছি না। কারণ, আপনার কাজ আমি করে দিতে পারবো না, আমার কাজ আপনি করে দিতে পারবেন না। আপনারা কাজ করুণ, আমরা সাপোর্ট দেবো। তারা শুধু টাকা চায়। টাকা থাকলে তো দেবো, না থাকলে কোত্থেকে দেবো?’
তবে জেলাগুলোর প্রতিনিধিদের লিগ নিয়ে আছে ভিন্ন মতামত। ময়মনসিংহের ডিএফএর সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মুকুল বলেন, ‘দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা হিসেবে একটা অনুদান সারা বছর বাফুফের দেওয়ার কথা। সেটা দিলেই আমরা খুশি। তবে, একজন সভাপতি হিসেবে আমার দায়িত্ব স্থানীয় লিগ আয়োজন করা। এটি আমি করেও থাকি। নিজস্ব অর্থায়নে বা কিছু স্পনসর নিয়ে। প্রথম বিভাগে ১২ ক্লাব, দ্বিতীয় বিভাগে ১৯টি ক্লাব খেলে থাকে। প্রতি বছর লিগ হয়। ৮ লাখ টাকা বাজেট প্রথম বিভাগে। দ্বিতীয় বিভাগে কম হয়।’
রাঙামাটি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ভুট্টো বলেন, ‘রাঙামাটি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। কিন্তু অর্থের অভাবে রাজশাহী যেতে পারিনি। এটা ২০২১ সালে। আমাদের কোনো মাঠ নেই। টাকা নেই। কোনো অ্যাকাউন্টও নেই।’
বরিশাল বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান খসরু বলেন, ‘খেলাধুলা চালানোর ক্ষেত্রে নিজেদেরও কিছু ব্যর্থতা আছে। বাফুফেরও ব্যর্থতা আছে। সদিচ্ছা ও সহযোগিতার অভাব আছে। খেলাধুলা চালানো ব্যয়বহুল। আগের মতো স্পনসর পাওয়া যাচ্ছে না। ১২ জন ফুটবলার ঢাকা থেকে আনতে গেলে অনেক টাকা লাগে। এ বিষয়ে কংগ্রেসে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। জেলাগুলো টাকা খাওয়ার জন্য চায় না, খেলা চালানোর জন্য চায়। সর্বশেষ লিগ আমরা চালিয়েছি ২০১৮ সালে।’
রাজশাহী জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কে এম মোসাদ্দেকুল কুদ্দুস সিদ্দিকী বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলকে বাঁচাতে হলে ৬৪ জেলা ও ৮ বিভাগকে মাঠ নিশ্চিত করতে হবে। ৭২টি মাঠ আছে। সব এনএসসির অধীনে। বছরে ৬ মাসের জন্য ফুটবল মাঠ নিশ্চিত করতে হবে। মাঠ যদি না থাকে বাফুফে ভবনে তো আর ফুটবল খেলা হবে না! যদিও আমরা নিয়মিত লিগ করছি। এ বছরও প্রথম বিভাগ করেছি। অন্য লিগও হচ্ছে আমাদের।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ