Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মেসি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চাপ নিয়ে খেলে’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জাতীয় দলে অভিষেক সেই ২০০৫ সালে। অল্প সময়েই সেরার কাতারে উঠে আসা এবং এরপর থেকে একটা লম্বা সময় ধরে আর্জেন্টিনার আশা ভরসার কাণ্ডারী হয়ে আছেন লিওনেল মেসি। পিএসজি তারকার কাঁধে চড়ে আবারও বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে দেশটি। দেশবাসীর আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা তৈরি করতে পারে পাহাড়সম চাপ। অবশ্য আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ফিজিও লুইস মার্তিনের মতে, ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই এমন চাপ নিয়ে খেলছে মেসি।
সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে অসংখ্য সাফল্য পেলেও মাঝের দীর্ঘ সময় ধরে দেশের হয়ে মেসির অর্জন ছিল শূন্য। তখন নিজ দেশেও সমালোচনা শুনতে হয়েছিল তাকে। তবে গত কয়েক বছরে চিত্রটা বদলে গেছে। ২০১৪ বিশ্বকাপে স্বপ্নপূরণের খুব কাছে গিয়েছিলেন মেসি ও তার সতীর্থরা। কিন্তু ফাইনালে আর্জেন্টিনার হৃদয় ভেঙে চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি। পরের দুই বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারে আর্জেন্টিনা। অবশেষে, মেসির হাত ধরেই লাতিন আমেরিকার দেশটি ঘুচিয়েছে ২৮ বছরের শিরোপা খরা। গত বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে তারা ব্রাজিলকে তাদের মাটিতেই হারায়। পুরো টুর্নামেন্টে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন তিনি।
লিওনেল স্কালোনির কোচিংয়ে রেকর্ড টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত আর্জেন্টিনাকে কাতার বিশ্বকাপে টপ ফেভারিট হিসেবে দেখা হচ্ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, দলটির সাফল্য ও ব্যর্থতার অনেকটাই নির্ভর করবে মেসির ওপর। ফুটবল পাগল দেশটির জনগণ চেয়ে থাকবে তার পায়ের যাদুতে মগ্ন হওয়ার আশায়। দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের প্রত্যাশার চাপ তাই প্রবলভাবেই থাকবে মেসির কাঁধে। আর্জেন্টিনার ২২১ রেডিও চ্যানেলে শুক্রবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই দিকটিই তুলে ধরেন মার্তিন। তিনি বলেন, মেসি-ডি মারিয়ারা মাঠে দ্যুতি ছড়ান দেশকে আনন্দে ভাসানোর লক্ষ্যে, ‘দলে স্বস্তিদায়ক আবহ ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্বটা তার। মেসি ও (আনহেল) দি মারিয়া দারুণ লড়াকু খেলোয়াড়। তারা প্রতিশোধ নিতে চায় না, তারা জনগণ, তাদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারকে আনন্দ দেওয়ার চাপ নিয়ে খেলে।’
অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে অবশ্য অনিশ্চয়তা আছে। ঊরুর সমস্যায় ভুগছেন তিনি। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাইরে থাকতে হবে তাকে। মাঠের বাইরে আছেন আর্জেন্টিনার আরেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় পাওলো দিবালাও। তার চোট সমস্যাও ঊরুতে এবং বেশ গুরুতর। ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি তার ক্লাব রোমা। বৈশ্বিক আসর শুরু হবে আগামী ২০ নভেম্বর। বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপে থাকা আর্জেন্টিনার তিন প্রতিপক্ষ সউদী আরব, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। চূড়ান্ত স্কোয়াড জমা দেওয়ার শেষ সময় আগামী ১৪ নভেম্বর। মার্তিনের বিশ্বাস, বিশ্বকাপ শুরুর আগে দিবালাসহ চোটে থাকা অন্যরাও সেরে উঠবেন, ‘ক্লাবের সঙ্গে থাকা খেলোয়াড়দের ব্যাপারে আমরা খুবই সচেতন। আমরা প্রতিনিয়ত তাদের উন্নতি অনুসরণ করছি। আমরা নিশ্চিত যে দিবালা কাতারে থাকতে পারবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ