পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রেসিডেন্টের সংলাপ শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ ডিসেম্বর। সংলাপের প্রথমদিনেই আমন্ত্রণ পেয়েছে বিএনপি। গতকাল সোমবার প্রেসিডেন্টের প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীন ইনকিলাবকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি ছাড়াও জাতীয় পার্টি, এলডিপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদকে সংলাপের জন্য বঙ্গভবনে ডাকা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষে নতুন যে ইসি দায়িত্ব নেবে, তার অধীনেই আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।
জয়নাল আবেদীন বলেন, ১৮ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে চারটায় বিএনপি, ২০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টি, ২১ ডিসেম্বর এলডিপি ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও ২২ ডিসেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদকে ডাকা হয়েছে। বাকি নিবন্ধিত দলগুলোকে পর্যায়ক্রমে ডাকা হবে বলে তিনি জানান। গত ১৮ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষে ১৩ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রস্তাবে তিনি সব দলের সঙ্গে আলোচনা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে সর্বজনশ্রদ্ধেয় বিতর্কমুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিশন গঠনের সুপারিশ করেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ওই দিনই বিএনপির প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে।
২১ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশন গঠনে খালেদা জিয়ার দেয়া প্রস্তাব প্রেসিডেন্টকে দেবে বলে জানান। এর জন্য তারা প্রেসিডেন্টের কাছে সময়ও চায়। গত ৬ ডিসেম্বর বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল খালেদা জিয়ার ওই প্রস্তাব বঙ্গভবনে পৌঁছে দেন। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন গঠন করার এখতিয়ার প্রেসিডেন্টের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে তিনি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দিতে পারেন। তবে বর্তমান কমিশন গঠনের আগে সে সময়ের প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান সার্চ কমিটির মাধ্যমে কমিশন গঠন করেছিলেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বিএনপি এবারও সব দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে। আওয়ামী লীগের নেতারা খালেদা জিয়ার ওই অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। আর প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বলেছে, সংসদের বাইরে থাকা কোনো দলকে এই সংলাপে ডাকার প্রয়োজন তারা দেখছে না। বিএনপিনেত্রীর প্রস্তাব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বলেছেন, উনার প্রস্তাব উনি দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টকে বলুক। এটা প্রেসিডেন্ট ভালো বুঝবেন, উনি কী পদক্ষেপ নেবেন। প্রেসিডেন্ট যে পদক্ষেপ নেবেন সেটাই হবে। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।