Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার মিরপুরের গিয়াস উদ্দিন : চাঁদাবাজদের বিচার দাবি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ১০:৪১ পিএম

রাজধানীর মিরপুরের মানবতার ফেরিওয়ালাখ্যাত আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্জ্ব মো. গিয়াস উদ্দিন এলাকার গণমানুষের কাছে অত্যন্ত সুপরিচিত।আসন্ন দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে তার রাজনৈতিক ও সামাজিক জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রিমহল তার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ইতিমধ্যে উম্মে সালমা চৌধুরী রানু সহ বিভিন্নজনকে তার পেছনে লেলিয়ে দিয়ে নানা মনগড়া অভিযোগ এনেছেন তার বিরুদ্ধে।

তার সাথে কথা বলে জানা যায়, জোট সরকার আমলে ২০০১-২০০৬ সালে ৭ মামলায় এস এ খালেকের রোষানলে পড়ে জেলজুলুম, কারাবাস খাটা মো. গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঐ চক্রটি এখনো মিথ্যা অভিযোগে তুলে তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ১৯৮৭ সালে মিরপুর বাঙলা কলেজ ছাত্রলীগের সাধ্যমে তার হাতেখড়ি। ১৯৯৪ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগের অন্তর্গত ৯ নং ওয়ার্ড এর সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দ্বায়ীত্ব পালন করেন। যে মানুষটি প্রতিনিয়ত দু:স্থ অসহায় বিপদগ্রস্থ মানুষদের পাশে থেকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা করে যাচ্ছেন যুগ যুগ ধরে। এলাকার দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয়তার পাশাপাশি দু:স্থ অসহায় রোগীদের তিনি গোপনে সেবা ও সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন।

২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর তিনি স্কুল-কলেজে লেখাপড়ার খরচ চালাতে অক্ষম শিক্ষার্থীদের পিতামাতার পাশে দাঁড়িয়েছেন আপন ভুমিকায়। ২০২০ সালে দেশে মহামারী করোনাকালে ১০ থেকে ১৫ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে দাঁড়িয়েছেন। এই অঞ্চলের স্বার্থান্বেষী চাঁদাবাজচক্র তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যাচার রটাচ্ছে।যারা মনে করেন আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হলে তাদের স্বার্থে আঘাত হানতে পারে। তারা দুর্নীতি অনিয়ম ও চাঁদাবাজি করতে পারবে না, শুধুমাত্র তারাই যোগ্য সৎ নিষ্ঠাবান মানুষটির নামে এই সকল নোংরা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। স্থানীয় সকল এলাকাবাসী এই সকল মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে ঐসকল অপপ্রচারকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি করেন তারা।

আলহাজ্ব মো. গিয়াস উদ্দিন সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়ে জানান, আমি ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির সাথে জড়িত আছি। বঙ্গবন্ধুকে আমি দেখিনি; আমি তার রেখে যাওয়া আদর্শ বুকে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একজন কর্মী হিসেবে নিজেকে সাধারণ মানুষের কাছে বিলিয়ে দিতে চাই। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা জাতির জনকের উত্তরসূরী আমাদের রাজনৈতিক পথপ্রদর্শক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস রেখে আমি পথ চলছি। আপনার বিরুদ্ধে কারা অপপ্রচার করেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল যারা দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদাবাজি, দখলবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে তারাই আমাকে এবং রাজনৈতিক শক্তিকে দূর্বল করতেই নানামুখী প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেতা শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা জননেতা এস এ মান্নান কচি ভাইয়ের নেতৃত্বে দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করে যাবো। আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ইনশাআল্লাহ আগামীতেও ঢাকা -১৪আসনে নৌকা প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সক্ষম হবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ