মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এশিয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেইজিংয়ের উত্থানের মধ্যে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ চুক্তির লক্ষ্য এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি মোকাবিলা। এ ছাড়াও চুক্তিতে দুই দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় ও সামরিক সহযোগিতাকে আরও গভীর করার মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করতে এবং প্রতিরক্ষা সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য যৌথ ঘোষণায় একটি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে, দুই দেশ দেড় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো যৌথ কোনো ঘোষণায় স্বাক্ষর করল।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল দখল করতে চীন যে ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপ চালিয়ে যাচ্ছে তার মধ্যেই এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করল অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। দুই দেশের নেতা তাদের দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন সমস্যা মোকাবিলার অভিপ্রায় নিয়ে বৈঠকে আলোচনাও করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের নেতাদের মধ্যকার এক বার্ষিক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মীদের পাশাপাশি উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় জাপানের সামরিক বাহিনী প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন করবে। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে গোয়েন্দা আদান-প্রদান বাড়ানো হবে। নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে যৌথ ঘোষণাপত্রের প্রশংসাও করেন তিনি।
আলবানিজ বলেন, এই যুগান্তকারী ঘোষণা আমাদের কৌশলগত পুনর্বিন্যাসকরণের বিপরীতে এই অঞ্চলে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাব।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানান, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান কঠোর ও কৌশলগত পরিবেশেও একটি মুক্ত এলাকা অর্জনের জন্য কাজ করছে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। জাতীয় প্রতিরক্ষা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় সব বিকল্প পদ্ধতি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সামরিক বাজেট বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন কিশিদা।
গত শনিবার শেষ হওয়া চীনের কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং টানা তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েন। ঠিক সেই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া-জাপানের এই চুক্তি বেইজিংয়ের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কমিউনিস্ট দেশটি এখন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক উসকানি বাড়াতে পারে, যেটিকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন।
কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ায় তিন দিনের সফরে গেছেন। তিনি সেখানে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ ‘মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের’ তাৎপর্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক বিবৃতিতে দুই নেতা তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন। সূত্র : এএনআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।