Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কম্বোডিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা হারুন মিয়া গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০২২, ১১:৫২ পিএম

বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. হারুন মিয়াকে (৫৪) পল্টন থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গ্রেফতারকৃত হারুন কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানা ইন্দা চল্লি গ্রামের মৃত হাছান উদ্দিনের পুত্র।

মঙ্গলবার বিকেলে র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে র‌্যাব-৩ এর একটি দল সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কম্বোডিয়ায় মানবপাচার চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. হারুন মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, দুটি, সীমকার্ড এবং একটি ভূয়া এনআইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হারুন সংঘবদ্ধ মানবপাচার চক্রের অন্যতম মূলহোতা। সে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে উচ্চ বেতনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি দেয়ার নাম করে ভিকটিম এবং তাদের অভিভাবকদের প্রলুব্ধ করে। সে দালালদের মাধ্যমে শিক্ষিত, কম্পিউটার বিষয়ে পারদর্শী বেকার যুবক যুবতীদের প্রলুব্ধ করে থাকে। কম্বোডিয়ায় প্রেরণের খরচ বাবদ প্রাথমিকভাবে তারা ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে থাকে। তারপর তাদেরকে বিমানযোগে কম্বোডিয়ায় পাঠানো হয়। তাদেরকে সাইবার ক্রীতদাস হিসেবে ব্যবহার করা হতো।

র‌্যাব জানায়, কম্বোডিয়ায় যাওয়ার পর হারুন মিয়া ও তার সহযোগী কম্বোডিয়া প্রবাসীদের সহায়তায় প্রথমে ভিকটিমদের একটি হোটেলে নিয়ে যায় এবং তাদের কাছ থেকে পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর হোটেলে কিছুদিন অবস্থান করার পর তাদেরকে কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য একটি বিদেশী ট্রেনিং সংস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিদেশী প্রশিক্ষকরা ভিকটিমদের গুগল ট্রান্সলেটর এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছদ্মনামে একাউন্ট পরিচালনা করে অন্যদের কীভাবে প্রতারণা করা যায়, ভুয়া ক্লোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা আত্মসাৎ করার কৌশল, ভুয়া নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে বা চ্যাটিং করে স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার নাম করে কৌশলে ডিপোজিট হাতিয়ে নেওয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভয়েস কল ও ভিডিও কল রেকর্ডিং করে পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আত্মসাৎ করার কৌশল শেখানো হয়। মানব পাচারকারীদের ভাষায় সাইবার প্রতারণার বিষয়টি স্ক্যামার হিসেবে পরিচিত। এভাবে তাদের ব্যবহার করে মানব পাচারকারী চক্রটি সাইবার অপরাধের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ