নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি) এমন এক মাঠ যেখানে ট্যাকনিক্যালি খুব ভালো না হলে, বড় শট খেলা কঠিন। এদিকে আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের ধরনটা হলো ‘মারো অথবা মরো’ শ্রেনীর। ঠিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাওয়ার হিটাররা যে ধরনের করে থাকেন। ক্যারিবিয়ানদের তাও দুই-চারজন দক্ষ ব্যাটার আছেন যারা ম্যাচ পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেন। তবে ক্রিকেটীয় ব্যাকরণ দারুণ, আফগানিস্তান থেকে এমন কাউকে খুঁজতে গেলে কেবল ইব্রাহীম জাদরানের নামটাই সামনে আসে। অন্যদিকে খেলাটা যখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, তখন প্রথমেই মাথায় চলে আসে পেস বোলিং। বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টির সুপার টুয়েলভের ম্যাচে কিউইদের নিয়ন্ত্রিত পেসের সামনে উড়ে গিয়েছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াও। তাই আজকের দ্বিতীয় ম্যাচে পরিষ্কার ভাবে অনেক এগিয়ে থেকে আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামছে কেন উইলিয়ামসনের বাহিনী। এই দুই দলের এখন পর্যন্ত একবারের মোকাবেলায়, জয়ী দলের নামটিও প্রত্যাশীতভাবে নিউজিল্যান্ড।
এশিয়া মহাদেশে খেলা হলে, সা¤প্রতিক সময়ে আফগানিস্তান বেশ বড় নামই। তবে গত বছরে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানদের বিপক্ষে হেসে-খেলে ৮ উইকেটে জিতেছিল কিউইরা। আর সা¤প্রতিক সময়ের ফর্ম বিবেচনা করলে, নিউজিল্যান্ড রীতিমত উরছে। শনিবার সিডনিতে স্বাগতিক অজিদের বিপক্ষে, কিউইদের দলীয় সংগ্রহ ছিল ২০০ রান। দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়েতে ভর করেই এই বিশাল পুঁজির ভিত পেয়েছিল তারা। তাছাড়া কনওয়ে সর্বশেষ ম্যাচে (২৬তম ইনিংস) ১০০০ রানের মাইলফল ছুঁয়েছেন, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে যা তৃতীয় দ্রæততম। ইনিংসের শেষদিকে কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশামের ব্যাটিং স্ট্রাইক রেট ২০৪.১৬, যা এই সংস্করণে বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। লোয়াড় অর্ডারের শক্তিমত্তায়ও পিছিয়ে থাকবে আফগানিস্তান। কনওয়ে আর কাপ্তান উইলিয়ামসন স্পিনটা খেলেন দারুণ স্বচ্ছন্দে। অন্যদিকে আফগানদের ম‚লশক্তিই হচ্ছে স্পিন। রশিদ খান, মুজিব-উর-রহমান ও মোহাম্মদ নবী, এই তিনজনই অস্ট্রেলিয়ান লিঘ বিগ ব্যাশের নিয়মিত মুখ। তাই দুই দলের মাঝে লড়াইটা কেবল এখানেই হতে পারে।
নিউজিল্যান্ডের বোলিংকে বর্তমানে টি-টোয়েন্টির সেরা বললে, মোটেই বাড়িয়ে বলা হয় না। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন ও অ্যাডাম মিলনেকে নিয়ে গড়া পেস অ্যাটাকের সামনে হাটু কাঁপে পৃথিবীর বাঘা বাঘা ব্যাটারদের। উল্লেখযোগ্যভাবে বললে, পেস সহায়ক উইকেটে কিউই বোলাররা ভয়ংকর সুন্দর। এদিকে এমসিজির উইকেট দেখে আতঙ্কে আছেন আফগান অধিনায়ক নবী, ‘এখানে পিচটি নতুন এবং কিছুটা সবুজ। পাশাপাশি, এবং আবহাওয়াও ঠান্ডা। বিগ ব্যাশে খেলার সময় এমন উইকেট দেখিনি। সাউদি এবং বোল্ট, দুজনেই ভালো বোলার। তারা কন্ডিশনকে খুব ভালোভাবে ব্যবহার করে।’
সর্বশেষ ৫ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড কেবল একটিতে হেরেছে। অন্যদিকে মেরুর ভিন্ন প্রানে দাঁড়িয়ে থাকা আফগানিসানের জয় কেবল ১ ম্যাচে। সর্বশেষ ম্যাচে ইংলিশ পেসারদের সামনে নাস্তানাবুদ হওয়া আফগানদের সামনে এবার বø্যাকক্যাপস গতিদানবরা। তবে অস্ট্রেলিয়ান গভর্নমেন্ট ব্যুরো অফ মেটিওরোলজি কিছুটা আস্বস্ত করতে পারে রশিদ-নবীদের। কারণ এই সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী আজ মেলবর্নে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।