পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীর নিকট বাম ছাত্র সংগঠন ছাত্র ফেডারেশনের কিছু বই পেয়ে মধ্যরাতে ওই শিক্ষার্থীকে ৩ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের ২ নেতার বিরুদ্ধে। এমনকি রাতেই ওই শিক্ষার্থীর বাবা মাকে ফোন দিয়ে তাদের ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের ওই দুই নেতারা বিরুদ্ধে।
গত সোমবার রাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার হল প্রভোস্টের নিকট এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এদিকে মধ্যরাতে ছেলে সম্পর্কে এমন খবরে আতকে উঠেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা মা। তড়িঘড়ি করে সকালের মধ্যেই কাঁদো কাঁদো চেহারা নিয়ে বগুড়া থেকে ক্যাম্পাসে আসেন বাবা মা। মায়ের কান্না দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই শিক্ষার্থীও।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম সামির সাদিক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক সদস্য। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ২২৩ নম্বর রুমে থাকেন তিনি। অন্য দিকে অভিযুক্ত ২ ছাত্রলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আহমদুল্লাহ আশরাফ এবং পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক রেজভী হাসান। সামির তাদের রুমমেট।
সামির সাদিক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইনকিলাবকে জানান, ছাত্র ফেডারেশনের কিছু বই পেয়ে আহমদ উল্লাহ এবং রিজভী ভাই আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং আমার ফোনটা জোরপূর্বক কেড়ে নেন। আমার ফেসবুকে ঢুকে দেখতে পান বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পেজে লাইক, নেতাদের পোস্টে লাইক। এসব দেখে আহমদ উল্লাহ আমার ফোন থেকে জোরপূর্বক মধ্যরাতেই আমার বাড়িতে কল করেন এবং আমার বাবা মাকে বলেন, আপনাদের ছেলে সরকারবিরোধী নিষিদ্ধ সংগঠন করে। তার ভালো চাইলে আপনারা তাকে নিয়ে যান। তিনি আমার বাবা মাকে আরো ভুলভাল বুঝান। সকালে দেখি আব্বু আম্মু কাঁদতে কাঁদতে ক্যাম্পাসে হাজির। ওনাদের চোকে পানি দেখে আমি খুব কষ্ট পাই। পরে বিষয়টি আমার সংগঠনের ভাইদের জানালে তারা হল প্রভোস্টের কাছে অভিযোগ দেন এবং প্রভোস্ট আমাদের একটা আশ্বাস দেন যে হলে থাকতে কোনো সমস্যা হবে না।
অভিযোগ অস্বীকার করে আহমদুল্লাহ আশরাফ বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। সামিরের পরিবারকে আমি ঘটনাটি জানাইনি। রুমে অন্য যারা ছিল, হয়তো তারাই জানিয়েছে। আমরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এ জন্য আমাদের নামে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সামিরের কাছে ছাত্র ফেডারেশনের বই দেখে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। তার সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার করা হয়নি। এ বিষয়ে রিজভীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সামিরের বাবা এমতাসুর রহমান বলেন, রাত পৌনে ১টার দিকে আহম্মদ উল্লাহ নামে পরিচয় দিয়ে আমাকে কল করেছে। কল করে বলেছে, আপনার ছেলে নিষিদ্ধ সংগঠন করে। তার কাছে বই পাওয়া গেছে। হলের রাজনৈতিক বড় ভাইরা জানতে পারলে তাকে মেরে পুলিশে দেবে। দ্রুত ক্যাম্পাসে এসে তাকে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার আগেই আমি মৌখিকভাবে বিষয়টার সমাধান করে দিয়েছি। তাদের মাঝে ছোট একটা বিষয় নিয়ে একটু ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। সব পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মায়ের সাথেও কথা বলেছি। সামির হলেই থাকবে, কেউ কোনো সমস্যা করবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।