মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত এক দশকে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) সদস্য দেশগুলোতে চীনের সামরিক তৎপরতা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি কেবল উপসাগরীয় অঞ্চলের নয়, ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকেও হুমকির মুখে ফেলেছে।
আল আরাবিয়্যা পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) চালু এবং উপসাগরীয় দেশগুলোসহ সারা বিশ্বে এর বিস্তার বেইজিংয়ের সম্প্রসারণবাদী নীতির বহিঃপ্রকাশ। বিআরআই প্রকল্প চীনের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবের একটি বাহন হিসাবে বিকাশ লাভ করেছে। এটি উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ গঠিত দেশগুলোকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সাম্প্রতিককালে পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকা বিশেষ করে উপসাগরীয় অঞ্চলে চীন তার স্বার্থ লাভে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। অবকাঠামো ও জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগ ছাড়াও বেইজিং বিআরআইয়ের মাধ্যমে এই অঞ্চলের বন্দরগুলোতে প্রচুর বিনিয়োগ করছে।
ইস্টার্ন হর্ন অব আফ্রিকায় চীন নিয়ন্ত্রিত জিবুতি ও কেনিয়ার বন্দর, আরব সাগরে ওমানের ডুকম বন্দরে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য হলো ওই এলাকায় বিদ্যমান ক্ষমতার ভারসাম্যকে কারসাজি করে জ্বালানি সমৃদ্ধ অঞ্চলে বেইজিংয়ের প্রভাব ঘাটানো। উপসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব খাটাতে চীন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হওয়ার কারণে জিসিসির রাজনৈতিক ও নিরাপত্তার মাত্রা ঝুঁকিতে রয়েছে।
সম্প্রতি জিসিসির সদস্য রাষ্ট্র ওমান চীনের সঙ্গে একটি সামরিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) আটকে রেখেছে। ওমানের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটির শাসক সুলতান হাইথাম উপসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি অবগত হয়েছেন।
এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেংহে ওমান সফর করেছিলেন। সেসময় একটি সামরিক সমঝোতা স্মারক সই করতে মাস্কাটে একাধিক ওমানি মন্ত্রী এবং সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। উভয় দেশ তখন তাদের কৌশলগত সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয় এবং একটি সামরিক সমঝোতা স্মারকের খসড়া চূড়ান্ত করে। তবে যাইহোক সাম্প্রতিককালে ওই অঞ্চলে চীনের তৎপরতা বৃদ্ধি সম্ভবত উপসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব নিয়ে ওমানের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগকেই ইঙ্গিত করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।