Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চীনা আগ্রাসনে ‘শান্তিকামী’ মনোভাবে পরিবর্তন আনতে পারে জাপান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০২২, ৮:২১ পিএম

তাইওয়ানকে একীভূত করতে চীন যে জবরদস্তি চেষ্টা চালাচ্ছে তার ফলে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন জাপান তার দ্বিতীয় বিশ্বযু্দ্ধ পরবর্তী শান্তিকামী দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারে। সেইসঙ্গে আত্মরক্ষার যে সংযমী নীতি মেনে চলছে সেখানে পরিবর্তন আনতে পারে।

আলবার্তো ডলি অ্যাপিয়া ইনস্টিটিউট ওয়েবসাইটের একটি নিবন্ধে লিখেছেন, বিশ্লেষকরা মনে করেন, তাইওয়ান ইস্যুটি জাপানের কাছে একটি ‘জীবন-মৃত্যুর চ্যালেঞ্জের’ এর মতো। টোকিও এখন এই অঞ্চলের অনিশ্চয়তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবে, বিশেষত চীনা আগ্রাসনের কারণে।

যুদ্ধ পরবর্তী যুগে জাপান একটি শান্তিবাদী সংবিধান গ্রহণ করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যাহোক, তাইওয়ানের প্রতি আরও আগ্রাসনে চীনের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে জাপান এখন সচেতন এবং তার শান্তিবাদী নীতি থেকে সরে যাচ্ছে।

উদাহরণ টেনে নিবন্ধে বলা হয়, ২০১৫ সালে থেকে জাপান তার আত্মরক্ষা বাহিনীতে সংযমের অনকে নীতি দূর করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষের পর থেকেই শান্তিবাদী নীতিতে ছিল জাপান। আগামীতে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মতো দেশগুলো ‘এক চীন নীতি’ থেকে দূরে সরে যাবে কিনা তা নিয়ে চীন চিন্তিত।

তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। একদিকে তাইওয়ান নিজেকে একটি দ্বীপ কার্যত স্বাধীন জাতি হিসাবে বিবেচনা করে; বিপরীতে বেইজিং স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে এক চীনের অংশ হিসাবে বিবেচনা করে।

তাইওয়ান এবং জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদানের জন্য ফুমিও কিশিদা সরকার তাইওয়ানেরএকটি প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানায়। সেই অনুষ্ঠানে চীনের প্রতিনিধি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ