মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন সিনেটেররা সম্মিলিতভাবে সে দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার লক্ষ্যে রাশিয়ার সাইবার হামলার ব্যাপারে কংগ্রেসকে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ সম্প্রতি তাদের তদন্তের ভিত্তিতে দাবী জানিয়েছে রাশিয়া রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পকে জেতাতে ওই হামলা চালিয়েছিলো। দুই ডেমোক্রেট ও দুই রিপাবলিকান সিনেটর রোববার দলীয় রাজনীতি পাশে রেখে বিদেশী সরকারের দ্বারা সাইবার হামলার মতো এ ধরনের হুমকি বন্ধ করতে আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। রিপাবলিকান সিনেটর ম্যাককেইন ও লিন্ডসে গ্রাহাম এবং ডেমোক্রেট সিনেটর চাক শুমার ও জ্যাক রিড যৌথ বিবৃতিতে বলেন, আমাদের মুক্ত সমাজের অন্তঃস্থলে এ ধরনের সাইবার হামলার ঘটনা জনগণকে জানাতে আমাদের একটি বাধা আছে। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক এ দুর্ঘটনা ব্যাপকভাবে খতিয়ে দেখতে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানরা এক সঙ্গে কাজ করবে এবং এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে সুন্দর সমাধানের উপায় বাতলানোর পরামর্শ দেবে। গত শুক্রবার সিআইএ তাদের প্রতিবেদনে বলে, রাশিয়া নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের জন্য কাজ করেছিলো। যদিও ট্রাম্প এ অভিযোগ বরাবরের মতো প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। ট্রাম্প রোবার এক সাক্ষাতকারে বলেন, এটি আরেকটি ছলচাতুরি। আমি এটা বিশ^াস করি না। এ ব্যাপারে বিভক্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। এটি আমাদের দেশের জন্য, আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ ব্যাপারে এক হয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সিনেটের হাউস ইন্টেলেজিন্স কমিটির কাছে সিআইয়ের প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর এ নিয়ে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়। ওদিকে মার্কিন নির্বাচনে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে সাইবার হামলা চালিয়ে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে দেশটির প্রভাবশালী দুটি গোয়েন্দা সংস্থাকে এখন নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা সিআইএ তাদের গোপন প্রতিবেদনে নির্বাচনে ট্রাম্পকে জেতাতে রাশিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে অপর প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এ দাবির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। আর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিআইএ-র এ দাবিকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। এমনকি ট্রাম্প শিবির থেকে সিআইএর তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। দুই শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার এমন বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে ওবামা প্রশাসন নির্বাচনে রুশ প্রভাব নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তেও আসতে পারছে না। তারা এফবিআই-এর স্পষ্ট জবাব চেয়েছিলেন। এফবিআই কর্মকর্তা সিআইএ-র প্রতিবেদনকে অস্পষ্ট ও অনিশ্চিত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যার মধ্য দিয়ে দুটি গোয়েন্দা সংস্থার অবস্থানগত পার্থক্য প্রকাশ হয়। বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র পত্রিকাটিকে জানিয়েছেন, এর মধ্য দিয়ে এফবিআই ও সিআইএ-র চরিত্রগত পার্থক্যও স্পষ্ট হয়েছে। এফবিআই চায়, একেবারে স্পষ্ট প্রমাণ যাতে অভিযোগ প্রমাণে কোনও সন্দেহের অবকাশ না থাকে। আর সিআইএ আচরণ থেকেই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চায়। ওই কর্মকর্তার মতে, এফবিআই অপরাধ হিসেবে বিষয়টিকে চিহ্নিত করতে চায়। কিন্তু বিষয়টি আদালতে প্রমাণযোগ্য কিনা সে বিষয়ে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সংশয় রয়ে গেছে। অন্যদিকে, সিআইএ কর্মকর্তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্ত নিতে ভূমিকা রাখায় তাদের কাছে আদালতে প্রমাণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিজনেস ইনসাইডার, ফক্স নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।