নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারাল ভারত। রোমাঞ্চ আর উত্তেজনায় পূর্ণ ম্যাচ গড়াল শেষ ওভারে। জয়ের জন্য তখন ভারতের দরকার ১৬ রান। সেখানেও জমে উঠল নাটক।
স্পিনার মোহাম্মদ নাওয়াজের করা বলে উচ্চতার ‘বিতর্কিত’ নো বল দেন আম্পায়ার । সেই বলে ছক্কা হাঁকালেন বিরাট কোহলি। ফ্রি হিট ডেলিভারি তার স্টাম্প এলোমেলো করে দিলেও বাই থেকে এলো ৩ রান!
শেষ দুই বলে ২ বলে যখন দরকার ২, দিনেশ কার্তিক হয়ে গেলেন স্টাম্পড। এরপর বোলার করে বসলেন ওয়াইড। শেষ বলে চার হাঁকিয়ে উল্লাসে মাতলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এদিন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের দর্শকে ঠাসা গ্যালারির সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জিতল ভারত।
পাকিস্তানের দেয়া ১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে রোহত শর্মার দল। কোহলি ৫৩ বলে ছয় বাউন্ডারি ও চার ছক্কায় অপরাজিত ৮২ রান করেন।
জিততে শেষ ১২ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৩০ রান। কিন্তু ১৯তম ওভারে দুই ছক্কায় ১৫ রান নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান কোহলি। ফলে শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলেই পান্ডিয়া হওয়াজের বলে বাবরের হাতে ক্যাচ দেন। তিনি ৩৭ বলে এক বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৪০ রান করেন।
অবশ্য এদিন জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে করতে নেমে দলীয় ৩১ রানে ৪ উইকেটে হারিয়ে বিপদে পড়ে ভারত। লোকেশ রাহুল ৪,রোহিত শর্মা ৪, সুর্যকুমার যাদব ১৫ ও অক্ষল প্যাটেল ২ রান করে বিদায় নেন। দলের বিপদে বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া ভারতের হাল ধরেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানকে শুরুতেই চাপে রাখেন আরশদিপ ও ভুবনেশ্বর। শেষ পর্যন্ত ইফতিখার আহমেদ ও শান মাসুদের হাফসেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৯ রান তোলে পাকিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বাবরকে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় করেন আরশদিপ। ওভারের প্রথম বলে এলিবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন পাক অধিনায়ক। ফলে গোল্ডেন ডাক নিয়েই ফিরতে হয় তাকে। বাবরের পর বিদায় নে মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ১২ বল খেলে তিনি করেন মোটে ৪ রান।
মহারণে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। কিন্তু সেই চাপ সামলে পাকিস্তানকে এরপর পথ দেখাতে থাকেন ইফতিখার আহমেদ ও শান মাসুদ। শুরুতে খোলসে ঢুকে থাকলেও ১০ ওভার পেরোতেই হাত খোলেন ইফতিখার। অক্ষর প্যাটেলের এক ওভারে তিন ছয়ে ইফতিখার রান তোলেন ২১, ছুঁয়ে ফেলেন ব্যক্তিগত ফিফটিও। এরপরই অবশ্য ফিরে গেছেন তিনি।
পাক শিবিরে ছোট একটা ধস নামে তার বিদায়ের পর। একে একে বিদায় নেন মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, হায়দার আলি, এবং আসিফ আলি দ্রুত আউট হলে আবারো চাপে পড়ে পাকিস্তান। শান মাসুদ অবশ্য একপাশ আগলে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত অর্ধশতকও পূরণ করে ফেলেন। তবে এরপরও পাকিস্তানের ১৬০ রানের লক্ষ্য পূরণটা সম্ভব মনে হচ্ছিল না, যেটা শেষমেশ সম্ভব হলো শেষদিকে শাহিন আফ্রিদির ক্যামিওতে। শেষ দিকে তার ৮ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া আর অরশদিপ সিং।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।