পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি বুকে হাত দিয়ে বলবো, ৫ বছর আগে ছিলাম প্রতিমন্ত্রী, এবার ১১ বছর হয়ে গেল মন্ত্রী। কখনোই কোনো পারসেন্টেজ, কোনো কমিশন কখনো নেইনি। ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি নিজের সম্পর্কে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রাস্তা করি, বৃষ্টি হলে রাস্তা নেই, টাকা কোথায় যায়? এ টাকা সরকারের টাকা, জনগণের ট্যাক্সের টাকা। সচিব সাহেব, এই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতিবাজ থাকবে না, এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করুক। যেখানে দুর্নীতি হওয়ার সেখানে তদন্ত করতেই হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের আন্দোলন জমাতে উসকানি দিয়ে লাশ ফেলতে চায়। বিএনপি ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তারা উসকানি দিয়ে লাশ ফেলতে চাইলে সরকার দায়ী থাকবে না। তাদের উদ্দেশ্য সফল হতেদেবো না। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, ২০১৩-১৪’র মতো রাজপথে সহিংসতা করতে চাইলে তার সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরত মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না। এই মন্ত্রণালয়ের কোথাও দুর্নীতিবাজ থাকতে পারবে না। এদের চিহ্নিত করতে হবে এবং এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করুক, কেন তদন্ত করে না। যেখানে দুর্নীতি হয় সেখানে তদন্ত করতেই হবে। আমি সবাইকে বলছি, কাজ করুন। সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা-যানজট কমান। তিনি বলেন, আইন করেছি ৩ চাকার গাড়ি মহাসড়কে চলবে না, কিন্তু কে শোনে কার কথা? আমি এক পথে যাই, খবর পাই, তখন সব ক্লিন। আবার আমি যখন রাস্তা অতিক্রম করি, আবার সেই পুরনো চিত্র।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্ঘটনার সংখ্যা আগের চেয়ে কমলেও দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার আগের চেয়ে বাড়ছে। এটা হলো বাস্তবতা, অস্বীকার করে লাভ নেই। আজ এত স্থাপনা সারা বাংলাদেশে, এত আন্ডার পাস, ওভার পাস, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, টানেল সবই হচ্ছে। তারপরও শৃঙ্খলা কেন নেই? শৃঙ্খলা না থাকলে সরকারের উন্নয়ন সাফল্য ম্লান হয়ে যাবে। উন্নয়নের অবকাঠামো, এত সাফল্য সব ম্লান হয়ে যাবে যদি আমরা সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে না পারি।
জনপ্রতিনিধিদের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাস্তায় ৩ চাকার গাড়ি বন্ধ করেছি। আমি যখন খবর নেই, বলে যে, অমুক জনপ্রতিনিধি গাড়ি চলতে দিয়েছেন। কেন চলবে? উনার কোনো স্বার্থ আছে। কেন চলবে? সামনে ভোট আছে। জীবন আগে না জীবিকা আগে? জীবন তো বাঁচাতে হবে। জীবন না বাঁচলে জীবিকা দিয়ে কী হবে! তিনি বলেন, আমি বুকে হাত দিয়ে বলছি কোনো পারসেন্টেজ, কোনো কমিশন কখনো নেইনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, রাস্তা করি, বৃষ্টি হলে রাস্তা নেই, টাকা কোথায় যায়? দুর্নীতিবাজদের কারণে সরকারের উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশে কিছু লোক আছে, তাদের আর কত টাকা, কত সম্পদ দরকার? তারা যদি নেতা হন, সেই নেতা বাংলাদেশে দরকার নেই। শেখ হাসিনার মতো সৎ নেতা চাই। তার মতো ভালো মানুষ পঁচাত্তর পরবর্তী আর একজনও আসেনি। কিন্তু আমরা যারা তার সঙ্গে রাজনীতি করি, আমরা কয়জন তাকে মেনে চলি? কয়জন জনপ্রতিনিধি জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে করেন, আর কয়জন পকেটের উন্নয়ন করেন? একদিন হিসাব দিতে হবে সকলকে। শেখ হাসিনা একা সৎ থাকবেন, দিন-রাত পরিশ্রম করবেন, আর আমরা টাকার পেছনে নিজের ভাগ্যোন্নয়নে পকেটের উন্নয়নে কাজ করবে, এটা হয় না।
নিজে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননি দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, বুকে হাত দিয়ে বলছি কোনো কমিশন কখনও নিইনি। কিন্তু এরা কারা আমার সঙ্গে কাজ করে? এক পশলা বৃষ্টি হলে রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়? নিম্নমানের পণ্য দিয়ে বানানোর কারণেই তো নষ্ট হয়। এই রাস্তা করে কী লাভ?
সড়ক পরিবহন আইন হলেও তার বাস্তবায়ন এবং নীতিমালা প্রণয়ন না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আগের সচিবকে বলেছি, বর্তমান সচিবকেও বলছি। বর্তমান সচিব এত কাজ করেছেন, এত কাজ জমে আছে। আইন হয়েছে নীতিমালা হয়নি, আইনের সংশোধন নিয়ে কথা উঠেছে। এর ফয়সালা হয় না কেন? আমি আবার সচিব মহোদয়কে বলবো বিষয়টিতে নজর দিতে। তিনি বলেন, গতবারের প্রত্যাশা ছিল দুর্ঘটনা, যানজট ও মোটরসাইকেলের উপদ্রব কমানোর। এই ঢাকা শহরে এখন আর হেলমেট ছাড়া কোনো যাত্রী দেখি না, রাস্তায় যারা হেলমেট ছাড়া চলে তারা পলিটিক্যাল লোক। পলিট্রিক্স ঠিক না হলে কিছু ঠিক হবে না।
রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, মানুষের অসুবিধা করে রং সাইডে যাবেন, আপনি কী নেতা, কেমন রাজনীতিবিদ? আপনাদের দিয়ে জনগণের কী কাজে আসবে? আগের সচিবকেও বলেছি, এদের নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। নীতিমালা করলে হবে না, নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম খারাপ হতে চলেছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী ও নিরাপদ সড়ক চাই-এর সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।