মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হবার দৌড়ে যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় একশ’ এমপির সমর্থন পেয়ে গেছেন ঋষি সুনাক। তার কর্মীরা এমনটাই দাবি করছেন। তার প্রচার দলের একটি সূত্র দাবি করছে, এ সংখ্যা একশ’ হয়ে গেছে। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন এবং লিজ ট্রাসের উত্তরসূরি হবার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তিনিও প্রস্তুত হচ্ছেন। ক্যারিবিয়ান দ্বীপে অবকাশ কাটাতে যাওয়া মিস্টার জনসনের গতকালই লন্ডনে ফিরে আসার কথা। আর পেনি মর্ডান্ট প্রথম ঘোষণা দিয়ে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সামিল হয়েছিলেন। তবে তিনি এ পর্যন্ত একুশ জনের সমর্থন জোগাড় করতে পেরেছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী স্যার জেমস ডুডরিজ বরিস জনসনের সমর্থক। তিনি মিস্টার জনসনের ফিরে আসার খবর বিবিসির কাছে নিশ্চিত করে বলেছেন যে, ‘তিনি ফিরে এসেছেন এবং এর জন্য প্রস্তুত’। তবে ঋষি সুনাক বা বরিস জনসন-কেউই আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেননি। অবশ্য সেজন্য তাদের প্রতি সমর্থন ঘোষণাও থেমে নেই।
ওদিকে ঋনি সুনাকের প্রচার দলের সূত্র জানিয়েছে, ব্যালট পেপারে নিজের নাম ওঠাতে প্রয়োজনীয় একশ এমপির সমর্থন ইতোমধ্যেই তারা যোগাড় করতে সমর্থ হয়েছেন। মি. সুনাক দলের বেশ কিছু সিনিয়র নেতার সমর্থন পেয়েছেন। এর মধ্যে আছে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ, নিরাপত্তামন্ত্রী টম টুগেনডাট ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।
মি. জাভেদ বলেছেন, ‘এটা যথেষ্ট পরিষ্কার যে, আমাদের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা যা দরকার সেটি ঋষি সুনাকের আছে। দলকে নেতৃত্ব দেয়া ও দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য তিনিই সঠিক ব্যক্তি’। মি. সুনাকের আরেকজন সমর্থক টোবিয়াস এলউড বলেছেন, মিস্টার সুনাককে সমর্থনের ক্ষেত্রে তিনি শততম এমপি। তিনি বলেছেন, ‘অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের জন্য স্থিতিশীল ও একটি দায়িত্বশীল সরকারের এটাই সময়’।
অন্যদিকে মিস্টার জনসনের সমর্থকরা বলছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর যথেষ্ট সমর্থন আছে। ‘তিনিই একমাত্র নির্বাচনে বিজয়ী। ব্রেক্সিট বিষয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন। এখনো আমরা ম্যান্ডেট পাচ্ছি’ বলছিলেন মিস্টার ডুডরিজ।
স্যার জেমস একটি বার্তা প্রকাশ করে বলেছেন, এটিই বরিস জনসনের বার্তা। পিএ নিউজ মিডিয়াকে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় সামিল হবার খবর নিশ্চিত করে তিনি বলেছেন, ‘আমি ফিরে আসছি। আমরা এটা করতে যাচ্ছি এবং আমি এর জন্য প্রস্তুত’।
অবকাশে থেকেই তিনি দলের এমপিদের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং তাদের কাছে অঙ্গীকার করেছেন যে, তিনি সরকার পরিচালনায় আরো অংশগ্রহণমূলক স্টাইল গ্রহণ করবেন এবং ডাউনিং স্ট্রিট পরিচালনায় আরো শৃঙ্খলা আনবেন।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী কেমি ব্যাডনচ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েল্লা ব্রেভারম্যান বলেছেন, দলকে একতাবদ্ধ করতে মিস্টার জনসনকে সমর্থন দেয়ার বিষয়টি তারা বিবেচনা করছেন বলে ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে। টোরি এমপি ব্রেন্ডান ক্ল্যার্ক স্মিথ বিবিসি নিউজনাইটকে বলেছেন, মিস্টার জনসন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দেননি। ‘তিনি সম্ভবত দেখতে চাইছেন যে, তিনি পর্যাপ্ত সমর্থন পাবেন কি-না....আমি বলবো তিনি প্রস্তুত’।
অন্যদিকে ঋষি সুনাক সমর্থক ক্রেইগ উইলিয়ামস বলেছেন, কয়েক ঘণ্টা বা দিনের মধ্যেই নেতৃত্বের লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দেবেন...এটা পরিষ্কার যে, একশর বেশি সহকর্মী তাদের সংসদীয় সমর্থন দিয়েছেন’।
আর মিস মর্ডান্ট বলেছেন, সহকর্মীরাই তাকে উৎসাহিত করেছে প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে সামিল হতে। তার অঙ্গীকার হলো ‘দেশকে ঐক্যবদ্ধ করা, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা ও পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হওয়া’। ‘আমি দেশের ও পার্টির সব দিকের মেধাবীদের কাজে লাগাবো’ বলেছেন তিনি। তার সমর্থক কনজারভেটিভ এমপি বব সিলি বলেছেন, তার বিশ্বাস দলকে ঐক্যবদ্ধ করে নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ মিস মর্ডান্ট-এর আছে। আগামীকাল সোমবার দুপুরের মধ্যেই একশ এমপির সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে প্রত্যেককে যারা প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে সামিল হতে চান। তিন জন হয়ে গেলে ওইদিনই ভোট দিয়ে একজনকে বাদ দেবেন দলীয় এমপিরা। শুক্রবারের মধ্যে নতুন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে হবে কনজারভেটিভ পার্টিকে।
জনমত জরিপগুলোতে এরই মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তায় ধস নামতে দেখা গেছে। জাতীয় নির্বাচন হলে দল বিপর্যয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। তাই সেপথে না গিয়ে দলীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়া হচ্ছে, যিনি জিতবেন তিনি হবেন ছয় বছরের মধ্যে যুক্তরাজ্যের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী। সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি বাংলা ও রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।