নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় এক যুগ ধরে হচ্ছে না কোন পাক-ভারত দ্বিপাক্ষীয় সিরিজ। ক্রিকেটের অন্যতম এই দুই পরাশক্তির দ্বৈরত এখন কেবল দেখা যায় বৈশ্বিক আসর গুলোতেই। তবে রাজনৈতিক কারণে ২০২৩ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি নয় ভারত। পাল্টা হুমকি হিসেবে পাকিস্তান জানিয়েছে তারাও ভারতে গিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে না। তবে এতসব মাঠের বাহিরের উত্তাপের মাঝে আজ মেলবর্নে মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল। যা আবার বিগত এক মাসের মধ্যে তৃতীয় বার। সর্বশেষ এশিয়া কাপ হয়েছিল কুড়ি ওভারের সংস্করণে। সেখানে দুই দলই ম্যাচ জিতেছে একটি করে। সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় তাই কাউকেই এগিয়ে রাখার উপায় নেই। ভারত ও পাকিস্তান এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে ১১টি ম্যাচে। যেখানে ভারত জিতেছে ৭টি ম্যাচ আর পাকিস্তানের জয় ৩টি ম্যাচে। অন্যদিকে ২০০৭ সালের প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি টাই হয়েছিল।
গত মৌসুমের আইপিএল আসর শেষ হয় ১৫ অক্টোবর। ঠিক দুই দিন পর (১৮ অক্টোবর) থেকে, দুবাইয়ে শুরু হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। টানা খেলার মধ্যে থাকা ভারতীয় ক্রিকেটারদের শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দৃশ্যমান ছিল বিশ্বকাপে। প্রথম দুই ম্যাচে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি তারা। তবে সেই ভুল এবার করেনি ভারত। বিশ্রাম নিয়ে, অস্ট্রেলিয়ায় আগে থেকে ক্যাম্প করে প্রস্তুতির সব দিক পূর্ণ করেই মাঠের লড়াইয়ে নামছে তারা। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা দাবি, দারুণ অবস্থানে আছে তার দল। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে রোহিত শর্মা জানান চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে লড়াইয়ে নামার আগে তারা আত্মবিশ্বাসী, ‘এটা নিয়ে আমরা অনেকদিন ধরেই কথা বলেছি। বড় সফরে গেলে ভালো প্রস্তুতি প্রয়োজন। যেভাবে প্রস্তুতি নিতে চাই তার জন্য হাতে সময় থাকতে হবে। আমরা জানি, প্রস্তুতি কতটা জরুরি। এই দলের অনেক ক্রিকেটারই অস্ট্রেলিয়ায় আগে খেলেনি। এখানে আগে আসতে চাওয়ার এটাও একটি কারণ।’
গত বিশ্বকাপের পর এখন পর্যন্ত ভারত সর্বোচ্চ টি-২০ ম্যাচ খেলেছে। তবে এই সময়টাই ২৯ জন ক্রিকেটার খেলেছেন ভারতের কুড়ি ওভারের সংস্করণে। তাই সঠিক বিশ্রাম মিলেছে ক্রিকেটারদের। তাছাড়া দুই সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ায় ক্যাম্প করার জন্য, সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খেলেননি, ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের কোন খেলোয়াড়। রোহিত এই ব্যাপারে যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে ভালো অবস্থানে আছি। গত বিশ্বকাপের পর ৩৫টি ম্যাচ খেলেছি আমরা। জানি, দল হিসেবে আমাদের কী করণীয়। বোলিং, ব্যাটিং ও ফিল্ডিং গ্রুপ হিসেবে কী করতে হবে। আমার মনে হয়, খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এই বিশ্বকাপে এসেছি। যেমনটা বলেছি, অনেক সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছি, আমার মনে হয় আমরা সেটা পেরেছি। বিশ্বকাপে এসে আমরা আত্মবিশ্বাসী।
ভারত দল কেমন হতে পারে সেই ব্যাপারে কোন কথা না বললেও ধারণা পাওয়া যাচ্ছে একটা। প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী দলটির, আজকের ম্যাচের সম্ভাব্য ব্যাটিং লাইং আপ রোহিত, লোকেশ, বিরাট, সূর্যকুমার, হার্দিক, কার্তিক, অক্ষর, ভূবেনেশ্বর, হারশ্বদ্বীপ, শামি, চাহাল।
অন্যদিকে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমও নিজেদের একাদশ নিয়ে ধোঁয়াশায় রেখেছে গণমাধ্যমকে। বাবর বলেন, ‘দেখুন, একাদশ আমরা ম্যাচের দিনেই জানতে পারব। দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের রানের মূল উৎস বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু দলটির মিডল অর্ডারের উপর কি কাপ্তানের আসলেই ভরসা আছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান,’এটি টি-টোয়েন্টি। যে কোন দিন, যে কেউ আপনাকে অবাক করে দিতে পারে। এটি একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ, যে কোনও খেলোয়াড় আপনাকে ম্যাচ জিতাতে পারে। আমার মিডল অর্ডারে উপর বিশ্বাস আছে।’
বাবর এ-ও জানিয়েছেন যে, শান মাসুদ মাথার চোট থেকে সেরে উঠেছেন, ‘শান মাসুদ সুস্থ হয়ে উঠেছে, তার রিপোর্ট ভালো এসেছে। সে আগামীকালের (আজ) জন্য প্রস্তুত।’ পাকিস্তান কাপ্তান একই সঙ্গে এটাও নিশ্চিত করেন যে, ফকর জামান খেলতে পারছেন না সামনের দুই ম্যাচ। তবে বাবরের তুরুপের তাস দুই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার, ‘শাদাব এবং নওয়াজ দারুণভাবে তাদের ভূমিকা রাখছেন ব্যাট হাতেও, এটি আমাদের কিছুটা স্বাধীনতা দেয় ব্যাটিংয়ে। তবে এখানে মাঠ বড়, এখানে খুব একটা বড় শট দেখতে পাওয়া যাবে না।’ তবে ভারত ও পাকিস্থানের আসল পার্থক্য গড়ে দিতে পারে পেস বোলিং। সেই ব্যাপারে বাবরের মতামত, ‘শাহীন ফিরে এসেছে। অন্যদিকে ওয়াসিম এবং বিশেষ করে হারিস যেভাবে বোলিংয়ে উন্নতি করেছে, তাতে বোলিং ইউনিটের প্রতি আমার আস্থা অনেক বেশি।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তান সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল গত বছরের ২৪ অক্টোবর। প্রায় এক বছর পরে (১ দিন আগে) আবারও বৈশ্বিক আসরেই এই দুই দল নামছে মাঠের যুদ্ধে। দুবাইয়ে ভারতের দেওয়া ১৫২ রানের চ্যালেঞ্জ পাকিস্তান পার করেছিল ১৩ বল ও ১০ উইকেট হাতে রেখে। বিশ্ব আসরে সেটিই পাকিস্তানের একমাত্র ভারতবধ। তবে মেলবর্নে কি ভারতের প্রতিশোধের পালা নাকি পাকিস্তানের এগিয়ে যাওয়া?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।