Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কারান কীর্তিতে উড়ন্ত ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

দলের চতুর্থ বোলার হিসেবে অষ্টম ওভারে প্রথম বল হাতে পেলেন স্যাম কারান। তবে সবচেয়ে বড় প্রভাব রাখলেন তিনিই। দুর্দান্ত বোলিংয়ে গুঁড়িয়ে দিলেন আফগানিস্তানের ব্যাটিং। পেলেন পাঁচ উইকেটের স্বাদ। ঘুচল ইংল্যান্ডের এক অপেক্ষা। গতকাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ইংল্যান্ডের প্রথম ম্যাচে ৩.৪ ওভারে স্রেফ ১০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার কারান। আফগানদের মাত্র ১১২ রানে গুটিয়ে ম্যাচটি ৫ উইকেটে জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে আফগানিস্তান। দলীয় ১১ রানে ওপেনার রাহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট হারায় তারা। উসমান ঘানি ও ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টা ছিল আফগানদের। কিন্তু উসমান ৩০ ও ইব্রাহিম ৩২ রানের আউট হন। এরপর কারানের বোলিং তোপে মাত্র ১১২ রানে অলআউট হয় মোহাম্মদ নবির দল। বেন স্টোকস ও মার্ক উড দুটি করে উইকেট নেন ইংলিশদের হয়ে। আউট হওয়া দশ জনই দেন ক্যাচ! রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। দলীয় ৩৫ রানে ১৮ রান করা অধিনায়ক জস বাটলারকে হারায় ইংলিশরা। এরপর অ্যালেক্স হেলস ১৯ রান ও ডেভিড মালান ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন টেস্ট দলের অধিনায়ক বেন স্টোকসও। তবে লিয়াম লিভিংস্টোন ও মঈন আলি দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। লিভিংস্টোন ২৯ ও মঈন ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
২০০৫ সালে এই সংস্করণে ইংল্যান্ডের পথচলা শুরুর পর এই প্রথম দেশটির কেউ পেলেন পাঁচ উইকেট। গত বছর বিশ্বকাপেই দুবাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লেগ স্পিনার আদিল রশিদের ২ রানে ৪ উইকেট ছিল তাদের কোনো বোলারের আগের সেরা বোলিং। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, দুই সংস্করণেই ৫ উইকেট নেওয়া ইংল্যান্ডের প্রথম বোলারও হয়ে গেলেন কারান। পাশাপাশি এবারের আসরে এই প্রথম পাঁচ উইকেটও পেলেন কেউ। কারানের ১০ রানে ৫ উইকেট সব আসর মিলিয়ে চতুর্থ সেরা বোলিং। ৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে চূড়ায় আছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক রহস্য স্পিনার অজান্তা মেন্ডিস।
অল্প রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। দলীয় ৩৫ রানে ১৮ রান করা অধিনায়ক জস বাটলারকে হারায় ইংলিশরা। এরপর অ্যালেক্স হেলস ১৯ রান ও ডেভিড মালান ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন টেস্ট দলের অধিনায়ক বেন স্টোকসও। তবে লিয়াম লিভিংস্টোন ও মঈন আলি দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। লিভিংস্টোন ২৯ ও মঈন ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।

অষ্টম ওভারে কারান যখন বল হাতে পান, আফগানিস্তানের রান তখন ২ উইকেটে ৩৭। ওই ওভারে একটি চারে তিনি দেন ৫ রান। নিজের পরের তিন ওভারে আর ৫ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট!
দ্বাদশ ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোরার ইব্রাহিম জাদরানকে (৩২) ফিরিয়ে প্রথম শিকার ধরেন কারান। অষ্টাদশ ওভারের শেষ দুই বলে তিনি পরপর দুই বলে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ খানকে ফিরিয়ে জাগান হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। শেষ ওভারে তার হ্যাটট্রিক বল ঠেকিয়ে দেন উসমান গনি। পরের বলেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। চতুর্থ বলে ফজলহক ফারুকিকে বিদায় করে আফগানদের ইনিংস গুটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন কারান। ৩০ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে কারানের আগের সেরা বোলিং ছিল ২৫ রানে ৩ উইকেট, এই মাসেই ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ