নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্টের দেখা হয়ে গেল এবার তাদের প্রথম ম্যাচেই। তবে দুই দলের ইনিংস হলো দুই রকম। নিউজিল্যান্ড বইয়ে দিল রানের বন্যা। জবাবে মুখ থুবড়ে পড়ল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। গতকাল সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জয় ৮৯ রানে। ২০০ রানের পুঁজি গড়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের তারা গুঁড়িয়ে দেয় স্রেফ ১১১ রানে। একপেশে ম্যাচে ব্যক্তিগত অর্জন যেমন হলো, সঙ্গে ধরা দিল দলীয় কিছু রেকর্ডও।
অস্ট্রেলিয়ার লজ্জা
দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে রানের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় হার এটিই। ২০১৬ সালে অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে ৩৭ রানের হার ছিল আগের রেকর্ড। শুধু তাই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও এত বড় ব্যবধানে আগে হারেনি অজিরা! পেরিয়ে গেছে ১০ বছর আগের রেকর্ড। ২০১২ আসরে কলম্বোর সেমি-ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০৫ রান তাড়ায় ৭৪ রানে হেরেছিল তারা।
আরো আছে। ২০ ওভারে ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ডও নতুন করে লিখল অস্ট্রেলিয়া। গত বছর ক্রাইস্টচার্চে ৫৩ রানের হার ছিল আগের রেকর্ড। ঘরে-বাইরে মিলিয়ে যে কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এ দিনের ৮৯ রানের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার বড় হার আছে কেবল একটিই। ২০০৫ সালে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্বিতীয় ম্যাচে সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৯ রানে অল আউট হয়ে ১০০ রানে হেরেছিল তারা।
অপেক্ষার অবসান
যে কোনো সংস্করণে প্রায় ১১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জিতল নিউজিল্যান্ড। সবশেষ ২০১১ সালের ডিসেম্বরে হোবার্টে টেস্ট ম্যাচে ৭ রানে জিতেছিল কিউইরা। মাঝে টানা ১৫ ম্যাচে তারা হেরেছিল। অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগতিকের বিপক্ষে সাদা বলের ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের আগের সবশেষ জয়টি ছিল আরও আগে, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মেলবোর্নে সেবার ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে জিতেছিল কিউইরা।
নতুন উচ্চতায় নিউজিল্যান্ড
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় জয় এটি। পেছনে পড়ে গেল ২০০৯ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৩ রানের জয়। কিউইদের বিপক্ষে কাঙ্গারুদের যেহেতু সবচেয়ে বড় হার এটি, স্বাভাবিকভাবে প্রতিবেশীদের বিপক্ষে কিউইদের সবচেয়ে বড় জয়। এই সংস্করণে নিউজিল্যান্ডের এর চেয়ে বড় জয় আছে আর চারটি। তবে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই প্রথম দুইশ রান করতে পারল নিউজিল্যান্ড। ২০০৯ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওই জয়ের ম্যাচে ১৯৮ রান ছিল তাদের আগের সর্বোচ্চ।
কনওয়ের অর্জন
নিউজিল্যান্ডের বড় সংগ্রহে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন ডেভন কনওয়ে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে তিনি উপহার দেন ৫৮ বলে অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংস। এই ইনিংসের পথে টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম ১ হাজার রানের রেকর্ড গড়েন কনওয়ে। ২৬ ইনিংসে মাইলফলক ছুঁয়ে তিনি ছাড়িয়ে যান কেন উইলিয়ামসনকে (৩৪ ইনিংস)।
সাকিবকে ছাড়িয়ে সাউদি
এই ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড এককভাবে নিজের করে নিয়েছেন টিম সাউদি। কিউই পেসারের উইকেট এখন ১০১ ম্যাচে ১২৫টি। ১০৪ ম্যাচে ১২২ উইকেট নিয়ে তার পরে আছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।