Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সিপিইসি প্রকল্পের কোনো কিছুই বাকি রাখছে না চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের পরিবেশ ও সামুদ্রিক জীবন ধ্বংস এবং স্থানীয়দের চাকরির সুযোগ না দেওয়াসহ নানা অন্যায্যতা ও নিয়ম লংঘনের বিষয়ে কর্ণপাত করছে না চীন। পাকিস্তানের অর্থনীতির উন্নয়নে উভয় দেশের সরকার সিপিইসি প্রকল্পের কোনো কিছুই বাকি রাখছে না। কিন্তু বেলুচিস্তানের স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীর প্রতি তাদের নিপীড়নের বিষয়ে কোনো মনোযোগ দিচ্ছে না। যদিও সিপিইসি প্রকল্পের একটি বড় অংশ বেলুচিস্তান জুড়ে চলছে। ‘বিআরআই ভিশনের অধীনে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) নির্মাণ: সুযোগ, চ্যালেঞ্জ এবং পাল্টা পদক্ষেপ’ শীর্ষক একটি গবেষণা পত্রে ‘নর্থওয়েস্ট পলিটিকস অ্যান্ড ল ইউনিভার্সিটি’র স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থী ওয়াং জুনচাও বলেন, “চীনারা সিপিইসিকে যেভাবে দেখে বা আরও যথাযথভাবে প্রকল্পটিকে দেখতে চায়।” সিপিইসির অস্তিত্ব এখন বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, কারণ এর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ভিতরে ও বাইরে থেকেও প্রতিরোধ হচ্ছে। জিও-পলিটিক জানিয়েছে, সিপিইসির কারণে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, যা সিপিইসি নির্মাণ শেষ করার তাগাদা দিচ্ছে। ওই গবেষণাপত্র অনুসারে, বেলুচিস্তানের জনসংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ, যা পাকিস্তানের অন্য চারটি প্রধান জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিনিধিত্বের দিক থেকে সবচেয়ে কম। পাকিস্তানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় বেলুচদের অংশগ্রহণের পর্যাপ্ত অধিকার নেই। কারণ পাকিস্তানের প্রায় ৬০ শতাংশ প্রশাসনিক সংস্থান পাঞ্জাব প্রদেশের লোকদের একচেটিয়া অধীন, বেলুচিদের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য উচ্চপদে সামান্য প্রবেশাধিকার রয়েছে। ডাইরেক্টাস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ