মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনার সংক্রমণ এখনও বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতিতে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কমিটি ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রথম কোভিড-১৯কে বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বলে ঘোষণা দিয়েছিল। এই ধরনের ঘোষণা কোনো রোগ নিয়ন্ত্রণে গবেষণা, অর্থায়ন এবং আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করতে পারে। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশ্বের বিভিন্ন অংশে করোনার সংক্রমণ কমলেও সতর্কতা বজায় রাখতে হবে এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে। সংস্থার জরুরি কমিটি বলেছে, ‘যদিও জনসাধারণের ধারণা হচ্ছে, বিশ্বের কিছু অংশে মহামারি শেষ হয়ে গেছে, এটি জনস্বাস্থ্যগত বিষয় হিসাবে রয়ে গেছে যা বিশ্বের জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের প্রতিকূল ও শক্তিশালী প্রভাব ফেলছে।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে সাপ্তাহিক মৃত্যুর সংখ্যা সর্বনিম্ন হলেও অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখনও বেশি। সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস আধানম গেবরিয়াসাস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই মহামারি আমাদের আগেও বিস্মিত করেছে এবং আবারও একই কাণ্ড ঘটতে পারে।’ অপর এক খবরে বলা হয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় ভারতীয় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এসআইআই) তাদের ১০ কোটি ডোজ করোনার টিকা নষ্ট করে ফেলেছে। কম চাহিদার কারণে প্রতিষ্ঠানটি গত বছরের ডিসেম্বরে তাদের টিকা কোভিশিল্ডের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহি আদর পুনাওয়ালা। বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সিরাম ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাক্সিজাভরিয়া টিকার স্থানীয় সংস্করণ তৈরি করছে। ভারতে করোনার যেসব টিকা দেওয়া হয়েছে তার ৯০ শতাংশই হচ্ছে কোভিশিল্ড। ভারত এ পর্যন্ত করোনার টিকার ২০০ কোটি ডোজ দিয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় জনসংখ্যার ৭০ শতাংশেরও বেশি কমপক্ষে দুটি ডোজ গ্রহণ করেছে। জুলাই মাসে দেশটিতে বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তবে এর সংখ্যা মাত্র ২৯ কোটি ৮০ লাখ। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের পুনাওয়ালা বলেছেন,‘বুস্টার ডোজগুলোর কোনও চাহিদা নেই। কারণ মানুষ এখন কোভিডের ব্যাপারে বিরক্ত বলে মনে হচ্ছে। সত্যি বলতে, আমিও বিরক্ত, আমরা সবাই বিরক্ত।’ পুনাওয়ালার মতে, সিরামের কাছে কোভিশিল্ডের প্রায় ১০ কোটি ডোজ মজুদ রয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই এগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।