গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বৈশ্বিকভাবে কার্বন উদগীরণ হ্রাস করতে না পারায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশ ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিষয়গুলো আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ। শানিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারের আজিমুর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত ‘কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশের ভূমিকা শক্তিশালী করতে সরকারের প্রণীত কর্মকৌশলে নাগরিক সমাজের মতামত যুক্ত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) এবং কয়েকটি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সভার আয়োজন করে। সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি, সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়। এতে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিআরডি’র নির্বাহী প্রধান মো. শামসুদ্দোহা।
মূলপ্রবন্ধে মো. শামসুদ্দোহা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ করতে উন্নত রাষ্ট্রগুলো তাদের কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করেনি। অবিলম্বে বৈশ্বিক কার্বন উদগীরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রার পরিমাণে বাড়াতে না পারলে পৃথিবীর জলবায়ু পরিস্থিতকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবেনা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশেই ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিষয়গুলো বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে। কপ-২৭ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সামনে আসা সুযোগগুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সমন্বিত কর্মকৌশল তৈরি করতে হবে। নাগরিক সমাজ এ ব্যপারে সাহায্য করতে চায়। উন্নতবিশ্ব বৈশ্বিক সমঝোতা আলোচনাকে নানাভাবে এড়িয়ে বিভিন্ন পার্শ্ব-কাঠামো তৈরি করতে চায়। বাংলাদেশকে কোনভাবেই এই ফাঁদে পা দেওয়া চলবেনা, এতে বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের অর্জনকে নষ্ট করে দিতে পারে।
সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, সম্প্রতি দেশে জলবায়ু অভিবাসী বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জলবায়ু সম্মেলনে এ ব্যপারে কথা বলে চাই। কিন্তু দুঃখজনক হলো বিশ্ব সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছিনা। অনেক উন্নত রাষ্ট্র মনে করেন তাদের দেশে অভিবাসি হওয়ার জন্য বিষয়টিকে সামনে আনেছি। কিন্তু আমাদের সাধারণ মানুষের বাস্তচ্যুত হয়ে তাদের দেশে যাওয়ার কোন আগ্রহ নেই। উন্নত রাষ্ট্র কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে আমাদের যে ক্ষয়ক্ষতি করেছে। জলবায়ু এবং গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড দিয়ে অনেক প্রকল্প করা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ প্রকল্পই অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের মত বিষয়ে নীতিনির্ধারক এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে কোন রকম দূরত্ব থাকা উচিৎ নয়। আরও দুঃখজনক হলো এবারের জলবায়ু সমঝোতা সম্মেলনে একজনও সংসদ সদস্য যুক্ত নয়। জলাবায়ু নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, আমাদের জলবায়ু সমঝোতা আলোচনায় একটি সমন্বয়হীন প্রক্রিয়ায় চলছে। একটি যথাযথ সমন্বিত ব্যবস্থা প্রণয়নের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। নাগরিক সমাজ, নীতিনির্ধারক, গবেষক সমাজের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করা জরুরি। আমাদের সমস্যা এবং জলবায়ু অভিঘাতের ক্ষতিগুলোকে গ্রহণযোগ্য এবং বিজ্ঞান সম্মত প্রক্রিয়ায় এখনো তুলে ধরতে পারিনি। তিনি অধিক ক্ষতিগ্রস্থ রাষ্ট্রগুলোর জন্য আলাদা অর্থায়ন কাঠামোর দাবি জানান। বাংলাদেশ সরকারকে এটি নিয়ে কাজ করতে আহবান জানান। তিনি গবেষক, নাগরিক সমাজের মধ্যে একটি জোটবদ্ধ কর্মসূচি থাকা দরকার বলে জানান।
অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা করেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের উপ-ব্যবস্থপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল আওয়াল খান এবং সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসির প্রোগ্রাম ম্যানেজার শিরিন সুলতানা লিরা। এছাড়া বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক, ডিয়াকোনিয়া, এসডিএস ইপসা, কোস্ট ফাউন্ডেশনসহ সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আলোচনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।