গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে(জবি) রঙিন ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। নানা প্রত্যাশা ও স্বপ্ন নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পা রাখলো তার যৌবনের নতুন ধাপ ১৮তম বছরে। বৃহস্পতিবার অর্জনে গৌরবে সতেরো স্লোগানকে সামনে রেখে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পযর্ন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও পুরান ঢাকায় নানা বর্ণিল ও মুখরোচক আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি কর্তৃক উপাচার্যকে গার্ড অফ অনার প্রদান করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। তারপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনে প্রকাশনা উৎসবের পর শান্ত চত্বর থেকে হাজারো শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে আনন্দ র্যালি বের হয়। আনন্দ র্যালিটি পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে আসে। র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বিভাগসহ সামাজিক সংগঠনগুলোর উপস্থিতি ছিল দর্শনীয়। সকাল ১০.৩০ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নিচ তলায় বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী ও শুভ উদ্বোধন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে তাসের দেশ নামক নাটকের শুভ উদ্বোধনের পরে মুজিব মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। শিক্ষার্থীদের পর শিক্ষক সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি ছিল আনন্দমুখর ও আলাদা উদ্দীপনার একটা মুহূর্ত। বিকাল ৪টায় প্রতিষ্ঠানিক কর্মসূচি সমাপ্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় জবি দিবস উদযাপন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সংগঠনগুলো এ দিবসকে সামনে রেখে ডিবেট,প্রতিযোগিতা ও খেলা ধুলার আয়োজন করেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় সার্বিক পরিদর্শনের পর ভিসি অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, আজকের দিনটি আমাদের কাছে অন্যরকম একটি দিন। গত বছর মহামারির কারণে আমরা উদযাপন করতে না পারলেও এবছর দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ছোট পরিসরে আয়োজন করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স কম হলেও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কোনোদিক থেকেই পিছিয়ে নেয়। গবেষণা,শিক্ষা,উচ্চশিক্ষায় আমাদের অর্জন গৌরবময় অবস্থানে আছে। অবকাঠামোগত উন্নতির কাজ চলমান আছে, কাজ শেষ হলে আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সেরা অবস্থানে থাকব।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজিবমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ক্যাম্পাস মাতিয়ে ছিলেন দেশসেরা ব্যান্ডদল ওয়ারফেজ ও সহজিয়া। রঙিন আলোকসজ্জা সন্ধ্যায় আরও ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনের মানুষ, আবোলতাবোল,ব্লুস্কাই বাংলাদেশসহ একাধিক ব্যান্ডদল।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে ২০ অক্টোবর তৎকালীন জগন্নাথ কলেজকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।