নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের কাছে ধরাশায়ী হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাবেক দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এমন মলিন শুরুটা ছিল বিশাল অঘটন। তাই নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে বেশ চাপে ছিল নিকোলাস পুরানের দল। এমনকি টসে জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ে নামা ক্যারিবিয়নরা ১৪ ওভার শেষে যখন ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে তখন তাদের সংগ্রহ মাত্র ১০১ রান! কিন্তু রোভম্যান পাওয়েল ও আকিল হোসেনের দৃঢ়তায় খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াকু পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে, ভালো শুরু পাওয়া জিম্বাবুয়েকে ৩১ রানে হারিয়ে সুপার টুয়েলভের আশা জিইয়ে রেখেছে ক্যারিবিয়ানরা।
গতকাল হোবার্টে আগে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ছন্দময় শুরু করেন কাইল মায়ার্স ও জনসন চার্লেস। তবে বিপজ্জনক হওয়ার আগেই, ১২ বলে ১৩ রান করা মায়ার্সকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এরপর এভিন লুইসকে সাথে নিয়ে চার্লস রানের চাকা সচল রাখলেও, লুইস ছিলেন ধ‚সর। সিকান্দার রাজার বলে শুম্ভার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৮ বলে এক চারে ১৫ রান করা লুইস। দলীয় ৯০ রানের মাথায় উইলিয়ামসনের শিকার ক্যারিবিয়ান কাপ্তান নিকোলাস পুরান। দলীয় রান তখন ৯০।
এরপর তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং। ফিফটির খুব কাছে গিয়েও রান আউট হন চার্লস। ৩৬ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৫ রান করেন তিনি। স্কোরে কোন রান যোগ না হতেই, রাজার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সামরাহ ব্রæকস। দলীয় স্কোর একশ অতিক্রমের পরই জেসন হোল্ডার বিদায় নিলে শঙ্কায় পরে উইন্ডিজ। তবে সেই শঙ্কা দ‚র করেন পাওয়েল ও আকিল। অষ্টম উইকেটে এই জুটির ৩৫ বলে জড় করে ৪৯ রান। ২১ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২৮ রানে পাওয়েল বিদায় নিলেও ১৮ বলে দুই চারে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন আকিল হোসেন। ফলশ্রুতিতে ৭ উইকেটে ১৫৩ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বল হাতে জিম্বাবুয়ের হয়ে ১৯ রানে ৩ উইকেট নেন সিকান্দার রাজা। মুজারাবানি ২টি ও শন উইলিয়ামস নেন এক উইকেট।
১৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা উড়ন্ত ছিল জিম্বাবুয়ের। মাধেভেরে ও চাকাভার মারমুখি ব্যাটিংয়ে ১৪ বলে ২৯ রান তোলে দলটি। এরপরই চাকাভাকে বোল্ড করে ব্রেক থ্রু এনে দেন আলজারি জোসেফ। উজ্জীবিত ক্যারিবিয়ানরা এরপরই চেপে ধরে প্রতিপক্ষকে। ৩ নাম্বারে নামা টনি মুনইয়ঙ্গাকেও আউট করেন জোসেফ, এবং এটিও বোল্ড। টিকতে পারেননি শন উইলিয়ামসও।
আরেক প্রান্ত থেকে হোল্ডার দারুণ সহযোগিতা করেন জসেফকে। ১৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করা ওপেনার মাধেভেরেকে সাজঘরে পাঠান তিনি। দলের সবচেয়ে বড় নাম রাজা মাত্র ১৪ রান করে স্মিথের বলে আউট হলে, জিম্বাবুয়ের ম্যাচে ফেরার সকল আশাই গুড়িয়ে যায়। দলের রান তখন ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৬৪। রায়ান বার্ল ও লুক জংউই আশা জাগালেও শেষ করতে পারেননি। ২২ বলে ২৯ রান করা জংউইকে ফেরান সেই জোসেফের। ১৯ বলে তিন চারে ১৭ রান করা বার্ল হোল্ডারের শিকার। শেষ পর্যন্ত ১০ বল বাকি থাকতে ১২২ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। বল হাতে ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা জোসেফ। আর ৩ উইকেট নেন হোল্ডার। আগামীকাল শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে জিম্বাবুয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।