নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মুখোমুখি এশিয়া কাপ-বিশ্বকাপ
আর মাত্র দু’দিন পর আসছে রোববার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে মুখোমুখি হচ্ছে এশিয়ার দুই পরাশক্তি ভারত-পাকিস্তান। তবে তার আগেই শক্তি প্রদশনীতে নেমেছে দুই দেশের বোর্ড! লড়াইটা অবশ্য এই ম্যাচ নিয়ে নয়, আগামী এশিয়া কাপ বনাম ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
আগামী বছর পাকিস্তানে হবার কথা এশিয়া কাপের। একই বছর ভারতে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তবে গতপরশু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহ জানান, এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না ভারত। তাই আসরটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হতে হবে। এই বক্তব্যের জেরেই এই পাল্টা-পাল্টি ‘হামলা’। ছেড়ে কথা বলেনি পাকিস্তান ক্রিকেট ডোর্বের প্রেসিডেন্ট রমিজ রাজাও। গতকাল চেয়ারম্যানের বরাতে এক বিবিৃতিতে পিসিবি জানায়, এশিয়া কাপ খেলতে ভারতীয় ক্রিকেট দল না এলে এক দিনের বিশ্বকাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেবে পাকিস্তান।
এর পর থেকেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে। সাবেক ব্যাটার সাইদ আনোয়ার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনা করেছেন। তার পরই ভারতীয় বোর্ডকে পাল্টা হুমকি দিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক সিনিয়র সদস্য বলেছেন, ‘পিসিবি কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। কঠিন ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। সকলেই জানে আইসিসি এবং এসিসির প্রতিযোগিতাগুলোতে কিছু বাণিজ্যিক দায় থাকে। বহু দলীয় প্রতিযোগিতাগুলোতে পাকিস্তান-ভারত খেলা না হলে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে।’ পিসিবির এক মুখপাত্র বলেন, ‘এখনই আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। আগামী মাসে মেলবোর্নে আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে যথাযথভাবে বিষয়টি তুলব আমরা।’
পিসিবি কর্মকর্তারা বিসিসিআই সচিব তথা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতির মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। ২০২৩ সালের এশিয়া কাপ প্রায় এক বছর দেরি। এখনই কেন এ ব্যাপারে জয় মন্তব্য করতে গেলেন, তা বুঝতে পারছেন না তারা। পিসিবির এক কর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি না জয় কী করে একতরফাভাবে প্রতিযোগিতা সরিয়ে নেয়ার কথা বলতে পারেন। পাকিস্তানকে এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছে এসিসির এক্সিকিউটিভ বোর্ড। এসিসি সভাপতি দেননি। জয় কিভাবে এমন কথা বলছেন?’
বিসিসিআই সচিবের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এসিসিকে কড়া চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্মকর্তারা। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কর্তারা ভারতীয় বোর্ডের কথা মতো চললে কঠোরতম পদক্ষেপ করতেও প্রস্তুত তারা। প্রয়োজনে এসিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথ খোলা রেখে এগোতে চান পিসিবি কর্মকর্তারা। এক পাকিস্তান ক্রিকেট কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দরকার হলে আমরা এসিসি থেকে বেরিয়ে আসার কথা ভাবব। পিসিবি বিশ্বাস করে এসিসি গঠিত হয়েছিল, বিশ্বের এই অঞ্চলে ক্রিকেটের উন্নতি এবং প্রসারের জন্য। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একতা গড়ে তোলার জন্য। এসিসি সভাপতি কি কোনো একতরফা মত দিতে পারেন? এমন হলে তো পাকিস্তানের থাকার কোনো প্রয়োজনই নেই।’
ভারত বহু দলীয় প্রতিযোগিতাগুলোতে পাকিস্তানের সাথে খেললেও ২০০৮ সালের পর ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তানে গিয়ে খেলেনি। পাকিস্তান শেষবার ভারত সফরে এসেছিল ২০১২ সালে সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।