গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর মিরপুরে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা-ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত জনি ইসলাম ও রাসেল মিয়া দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। বুধবার দু’দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আজ আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাদের স্বেচ্চায় দেয়া স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোস্তফা রেজা নুর। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এরআগে মঙ্গলবার একদিনের রিমান্ড শেষে গ্রেফতারকৃত সাতজনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিরা হলো, সুরুজ কাঙ্গালী, আক্তার, শমসের উদ্দিন, রনি, কালিম, মাসুদ রানা ও শাম।
তারও আগে গত ১৬ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর জোনাল টিমের এসআই (নিরস্ত্র) কামাল পাশা আসামিদের আদালতে হাজির করে তাদের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমন্ডের আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দীন দু’ আসামির দু’দিন ও সাতজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শনিবার ১৫ অক্টোবর বিকেলে মিরপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে হামলার সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবার ১৪ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে পাঁচটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ রিকশাচালকরা। হামলায় দু’পুলিশ সদস্য আহত হন। ভাঙচুর করা হয় একটি মোটরসাইকেলও। পরে পুলিশ বাদি হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে শতাধিক অটোরিকশা চালককে আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।